আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৩ ঘণ্টা পর জঙ্গিমুক্ত কাবুলের অভিজাত হোটেল
আফগান বিশেষ বাহিনীর অভিযানে কাবুলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল সারারাত দখল করে রাখার ঘটনার অবসান হয়েছে। গতকাল রোববার ভোরে বিশেষ বাহিনী শেষ বন্দুকধারীকে হত্যার পর হোটেলটি মুক্ত হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত শনিবার রাতে তিন হামলাকারীর একটি দল হোটেলটিতে হামলা চালিয়ে অতিথিদের জিম্মি করে ও কয়েক ঘণ্টা ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ চালিয়ে যায়। গত শনিবার রাতেই হামলাকারী দুই বন্দুকধারী নিহত হয়। চার বন্দুকধারী হোটেলটিতে হামলা চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল।
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজিব দানেশ জানিয়েছেন, অন্তত পাঁচজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। আগে যা আশঙ্কা করা হয়েছিল হতাহতের সংখ্যা তার চেয়ে কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। হোটেলটি থেকে ৪১ জন বিদেশিসহ মোট ১৫৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই হোটেল ভবনটি থেকে ঘন কালো ধোঁয়ার মেঘ বের হতে দেখা যায়। আফগান পুলিশ ইউনিটগুলোর পাশাপাশি মার্কিন সামরিক বাহিনীর সাঁজোয়া যানগুলোকে ভারী মেশিনগান সজ্জিত অবস্থায় ঘটনাস্থলে দেখা যায়। কাবুলের হোটেলগুলোতে হামলা হতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে এ ধরনের একটি সতর্কবার্তা জানানোর কয়েক দিনের মধ্যে হামলাটি চালানো হলো। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। হোটেল ম্যানেজার আহমেদ হ্যারিস নায়াব অক্ষত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, হামলাকারীরা রান্নাঘরের মধ্যদিয়ে হোটেলটির প্রধান অংশে প্রবেশ করে গুলিবর্ষণ শুরু করলে লোকজন হোটেল ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, হামলাকারীরা হোটেলটির কয়েকজন কর্মী ও অতিথিকে জিম্মি করেছিল। কাবুলে অধিকাংশ সরকারি ভবনের মতো ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলেও ব্যাপক সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল। একটি পাহাড়ের ওপর অবস্থিত হোটেলটিতে এর আগে ২০১১ সালে হামলা চালিয়েছিল তালেবান। কাবুলের প্রধান দুটি বিলাসবহুল হোটেলের মধ্য এটি অন্যতম। গতকাল রোববার হোটেলটিতে একটি তথ্য-প্রযুক্তি সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। হামলা শুরু হওয়ার সময় হোটেলটিতে শতাধিত তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবস্থাপক ও প্রকৌশলি উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন দেশটির টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আহমদ ওয়াহেদ।
"