আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২০ জানুয়ারি, ২০১৮

সেলফির বেল্টটিই ধরিয়ে দিল খুনিকে

একটামাত্র সূত্র ধরেই দুই বছর আগের একটা খুনের রহস্যের কিনারা হলো! প্রিয় বন্ধুকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হল কানাডার এক তরুণী। গত সোমবার শ্যেন রোজ আঁতোয়ান নামে বছর একুশের ওই তরুণীকে সাত বছরের কারাদ- দিয়েছেন একটি আদালত। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে খুন হয়েছিলেন ব্রিটনি গার্গল নামে বছর আঠারোর এক তরুণী। সাসকাটুনে রাস্তার ধার থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তার দেহের পাশেই পাওয়া যায় একটি বেল্ট। জানা যায়, শ্বাসরুদ্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে ব্রিটনির।

কিন্তু কে বা কারা খুন করেছে ব্রিটনিকে, তা নিয়ে অথৈ পানিতে পড়েন তদন্তকারীরা। সেরকম কোনো সূত্রও মেলেনি। ওই রহস্যের কিনারা করতে পুলিশ কথা বলেন ব্রিটনির বান্ধবী আঁতোয়ানের সঙ্গে। তখন সে জানিয়েছিল, ওই রাতে ব্রিটনির সঙ্গেই ছিল সে। তারা বেশ কয়েকটি পানশালায় গিয়েছিল। এরপরে আঁতোয়ান জানায়, টরোন্টোর দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির হাতেই খুন হন ব্রিটনি। কিন্তু তার দেওয়া তথ্যে অসঙ্গতি পান তদন্তকারীরা। আর তারা যে পানশালায় গিয়েছিলেন, সেখানে সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি। ফলে তদন্ত সেই তিমিরেই রয়ে যায়।

প্রায় দুই বছর ধরে রহস্যের কিনারা করতে না পেরে তদন্তকারীরা শেষে ফেসবুক ঘাঁটতে শুরু করেন। সেখানে আঁতোয়ানের অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে তারা একটি সেলফি পান। যেটি ব্রিটনির দেহ মেলার ঠিক ছয় ঘণ্টা আগেই পোস্ট করা হয়েছিল। ওই ছবিটিতেই তদন্তকারীরা দেখতে পান, ব্রিটনির দেহের পাশে যে বেল্টটি উদ্ধার হয়েছে, সেই বেল্টটিই ওই সেলফিতেই রয়েছে। এরপরে আঁতোয়ানের এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পারে, ঘটনার দিন মদ্যপ অবস্থায় তার বাড়িতে এসেছিল আঁতোয়ান। সে পাগলের মতো করছিল আর বলছিল, মাদকাসক্ত অবস্থায় কথা কাটাকাটির পরে সে তার বন্ধুকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। এরপরেই পুলিশ আঁতোয়ানের বিরুদ্ধে মামলা সাজায়। এরপরে সে অপরাধ স্বীকার করে। কিন্তু মামলা চলাকালীন সে জানায়, কীভাবে সে ব্রিটনিকে খুন করেছিল, মনে নেই। তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে পালক বাবা-মায়ের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আঁতোয়ান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist