আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কথা ঘোরানোর চেষ্টা স্টিভ ব্যাননের
‘ট্রাম্প জুনিয়র নয়, সাবেক প্রচার ব্যবস্থাপক পল ম্যানাফোর্টের কর্মকা-কে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক বলেছি’
প্রেসিডেন্টের ছেলেকে নিয়ে করা মন্তব্য থেকে সরে এসেছেন হোয়াইট হাউসের সাবেক চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টিভ ব্যানন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ট্রাম্প জুনিয়র নয়, সাবেক প্রচার ব্যবস্থাপক পল ম্যানাফোর্টের কর্মকা-কে ‘রাষ্ট্রদ্রোহমূলক’ অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন তিনি।
নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে পাঁচ দিন সময় নেওয়ায় দুঃখও প্রকাশ করেছেন ব্যানন, খবর বিবিসির।
গত সপ্তাহ থেকে মার্কিন গণমাধ্যমে সাংবাদিক মাইকেল ওলফের লেখা ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি : ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউস’ বই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
বইতে ব্যানন ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় রাশিয়ানদের সঙ্গে ট্রাম্প জুনিয়রের বৈঠককে ‘রাষ্ট্রদ্রোহমূলক’ ও ‘দেশপ্রেমহীন’ অ্যাখ্যা দেন বলে জানায় গণমাধ্যমগুলো। হোয়াইট হাউসের সাবেক এ কর্মকর্তার এমন মন্তব্য নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পশিবিরের সঙ্গে রুশ যোগাযোগ নিয়ে অভিযোগের পালে নতুন হাওয়া দেয়। ওই অভিযোগ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেস ও বিচার বিভাগের তদন্তও চলছে। ট্রাম্প এবং ক্রেমলিন শুরু ধেকেই এ ধরনের যোগসাজশের কথা অস্বীকার করে আসছে। ওলফের বইতে ডোনাল্ড জুনিয়রকে নিয়ে ব্যাননের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস থেকে চাকরি যাওয়ার পর ব্যাননের ‘মাথাটা গেছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ওলফের লেখা বইটিকে কল্পকাহিনিও অ্যাখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, বইটি মিথ্যায় ভরপুর। রোববার বইয়ে ছাপা হওয়া মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেন ব্যানন। বলেন, তার অভিযোগ পল ম্যানাফোর্টের দিকে।
‘ডোনাল্ড জুনিয়র একই সঙ্গে দেশপ্রেমিক ও ভালো মানুষ। আমার মন্তব্যের লক্ষ্য ছিল পল ম্যানাফোর্ট।’ নির্বাচনী প্রচারে দক্ষ, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও জ্ঞানী ম্যানাফোর্টের রাশিয়ানদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত ছিল, ভাষ্য ব্যাননের।
‘তারা যে দুমুখী, দুষ্টু ও আমাদের বন্ধু নয় তা তার বোঝা উচিত ছিল। আবার বলছি, ওই মন্তব্য ডোনাল্ড জুনিয়রকে উদ্দেশ্য করে ছিল না।’
ওলফের বইতে তার মন্তব্য সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি বলেও দাবি ব্যাননের।
বিবিসি বলছে, ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি : ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউস’ বইতে ব্যানন রাশিয়ানদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া ট্রাম্প জুনিয়র, জারেড কুশনার ও ম্যানাফোর্ট তিনজনেরই উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া এ তিনজনকেই এফবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বই নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে কট্টর ডানপন্থি সংবাদমাধ্যম ব্রেইটবার্ট নিউজ এজেন্সির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক রেবেকা মার্সার ট্রাম্পের পক্ষ নিয়ে ব্যাননের সঙ্গে সম্পর্কোচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার পর হোয়াইট হাউসের সাবেক এ চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট তার অবস্থান বদলালেন বলেও ধারণা অনেকের। হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর ফের ব্রেইটবার্ট নিউজ এজেন্সির শীর্ষ পদে ফেরেন ব্যানন।
"