নিজস্ব প্রতিবেদক
গায়ক বারী সিদ্দিকীর অবস্থার অবনতি
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বারী সিদ্দিকীর (৬৩) শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন তার বড় ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী। সাব্বির সিদ্দিকী জানান, ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ‘লাইফ সাপোর্টে থাকা বাবার অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে’। বাবার সুস্থতায় সবার কাছে দোয়া চান তিনি। সাব্বির সিদ্দিকী জানান, তার বাবা গত দুই বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। গত বছর থেকে সপ্তাহে তিন দিন কিডনির ডায়ালাইসিস করে আসছিলেন। ডায়াবেটিসও রয়েছে তার। গতকাল শনিবার রাত ৮টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই গায়ককে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
গত শুক্রবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার ভোররাতে লাইফ সাপোর্টে নেন চিকিৎসকরা। পারিবারিক সূত্রে আরো জানা গেছে, এর আগে সন্ধ্যায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে যান বারী সিদ্দিকী। বাসায় ফেরেন রাত ১০টার দিকে। এরপর ঠিকমতো খেয়ে ঘুমিয়েও পড়েন। তবে অনেক রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বারী সিদ্দিকীর দুটি কিডনিই অকার্যকর হয়ে পড়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
স্কয়ার হাসপাতালের তথ্য অনুসন্ধান বিভাগের কর্মকর্তা ব্রাদার মনজুরুল বলেন, শুক্রবার রাতে ইবনে সিনা হাসপাতাল থেকে তাকে এখানে আনা হয়। আমাদের এখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।
বহু বছর ধরে সংগীতের সঙ্গে জড়িত এই গুণী শিল্পী। তবে দেশবাসীর কাছে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পান ১৯৯৯ সালে। ওই বছর কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিতে ছয়টি গান করেন তিনি, যার প্রতিটিই জনপ্রিয় হয়। গানগুলোর মধ্যে রয়েছে-‘শুয়াচান পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি’, ‘পূবালি বাতাসে’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘ওলো ভাবিজান নাউ বাওয়া’ ও ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’।
এরপর তিনি কয়েকটি সিনেমায় প্লেব্যাক করেছেন। তার গাওয়া গান নিয়ে বের হয়েছে অডিও অ্যালবাম। নিয়মিত গান করেন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ও গানের আসরে।
"