যশোর প্রতিনিধি
সংঘর্ষের জেরে হাসপাতালে বোমা হামলা, আতঙ্ক
এলাকায় হামলা-পাল্টা হামলার জেরে দ্বিতীয় দফায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মারামারিতে জড়িয়েছেন রোগীর স্বজনরা। এ সময় একপক্ষের বোমা বিস্ফোরণে পুরো হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালের দোতলায় তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনায় বাবু (৩০) নামে একজন জখম হয়েছেন। এর আগে এলাকায় হামলায় জখম হয়েছেন শহরের রেলগেট রায়পাড়া কয়লাপট্টি এলাকার ইসরাইল হোসেন কাজীর স্ত্রী জাহেদা বেগম (৪৮), ছেলে স্বজল হোসেন এবং অপর পক্ষের একই এলাকার আলী আহম্মদের ছেলে আল-আমিন (২০)।
এলাকাবাসী জানায়, গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া কয়লাপট্টি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আল-আমিন ও সজল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সজল ও তার মা জাহেদা বেগম এবং প্রতিপক্ষের আল-আমিন আহত হন। আহতদের সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আল-আমিনের স্বজন বাবুকে একা পেয়ে ধাওয়া করে প্রতিপক্ষ সজলের লোকজন। বাবুকে ধাওয়া করলে হাসপাতালের দোতলায় মহিলা ওয়ার্ডে রোগীর বেডের নিচে গিয়ে পালায়। সেখানেই মারপিট করা হয় বাবুকে। এরপর হামলাকারীরা দোতলায় তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের সামনে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্থান ত্যাগ করে।
মহিলা ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স তৃপ্তি লতা গোস্বামী জানান, ৪-৫ জন যুবক বাবু নামে একজনকে ধাওয়া করলে সে এই ওয়ার্ডের রোগীর বেডের নিচে লুকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু রোগীর বেডের নিচেই তার ওপর হামলা করে ওই যুবকরা। এ সময় রোগী, স্বজন ও নার্সদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরো বলেন, ওয়ার্ডে রোগীর বেডের নিচে হামলা নজিরবিহীন। এভাবে দায়িত্ব পালন করা নার্সদের জন্য কঠিন। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ কে এম কামরুল ইসলাম বেনু বলেন, রোগীর স্বজনদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। একপক্ষ দোতলায় বোমা বিস্ফোরণ করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান, হাসপাতালের মধ্যে দুই গ্রুপ চাকু মারামারি করেছে এবং একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
"