জাবি প্রতিনিধি
লাখ লাখ টাকার চুক্তিতে প্রক্সি
জাবিতে আবার চার জালিয়াত আটক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া চার ভর্তীচ্ছুকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার ‘সি’ ইউনিটের সাক্ষাৎকার চলাকালে উত্তরপত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়। পরে তাদেরকে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাক্ষাৎকারের তিন দিনে ভর্তি জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক হলো ভর্তীচ্ছুসহ ১৪ জন।
আটকৃতরা হলো ইয়াছিন আরাফাত, শেখ পারভেজ আহমেদ, রাকিব হোসেন ও আবু রায়হান। এদের মধ্যে তিনজন লাখ লাখ টাকার চুক্তিতে অন্য কেউ প্রক্সি দিয়েছে বলে স্বীকার করলেও অস্বীকার করেছে আরাফাত। তবে উত্তরপত্রের হাতের লেখার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তার হাতের লেখা মেলেনি বলে স্বীকার করেছে সে। আরাফাত দাবি করে, তার পরীক্ষা সে নিজেই দিয়েছে।
প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার চর বরভিলা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত ‘সি’ ইউনিটে মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করে। নাটোরের লালপুর থানার অমরপুর গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে আবু রায়হান ‘সি’ ইউনিটে মেধা তালিকায় ১৩তম স্থান অধিকার করে। মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগরের কামারগাঁও গ্রামের আহমেদ আলীর ছেলে রাকিব হোসেন ‘সি’ ইউনিটে মেধা তালিকায় ৫৮তম স্থান অধিকার করে। গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার শ্রীপুর গ্রামের শেখ কামালের ছেলে শেখ পারভেজ আহমেদ ‘সি’ ইউনিটে মেধা তালিকায় ১১৫তম স্থান অধিকার করে।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘আটককৃতরা জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত বলেই তাদেরকে আটক করা হয়। আটক চারজনের মধ্যে তিনজন জালিয়াতচক্রের সঙ্গে লাখ লাখ টাকার চুক্তি করেছে বলে স্বীকার করেছে। তবে অন্য একজন টাকার বিষয়টি স্বীকার না করলেও হাতের লেখা ভিন্ন বলে স্বীকার করেছে। আমরা তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কাছে হস্তান্তর করেছি। তারা আটককৃতদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।’
আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. জেফরুল হাসান চৌধুরী।
"