খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় বক্তারা
সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে মারা যায় ৪ হাজার মানুষ
‘সাবধানে চালাব গাড়ি, নিরাপদে ফিরব বাড়ি’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হলো জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার নগরীতে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) খুলনা সার্কেল। নগরীর ফেরিঘাট মোড় থেকে শুরু হয়ে র্যালিটি শেষ হয় শিববাড়ী গিয়ে। এ ছাড়া বিভাগীয় জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, দেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় চার হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে এবং পাঁচ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। এ বিপুল পরিমাণ ক্ষতির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে সবাইকে সচেতনতার সঙ্গে গাড়ি চালানোর পাশাপাশি পথ চলতে হবে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুর-ই-আলমের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিআরটিএ খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. জিয়াউর রহমান, কেএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মামুন কায়সার।
বাংলাদেশ বেতার খুলনার উপস্থাপক মো. গোলাম মোস্তফার পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিআরটিএ খুলনা সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) মো. সাদেকুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ঐক্য ফেডারেশনের নেতা আবদুর রহিম বক্স দুদু, শ্যুটিং ক্লাবের প্রতিনিধি ইফতেখার আলী বাবু, বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী সারোয়ার হোসেন, মিনিবাস মালিক সমিতির নেতা শেখ অহিদুল ইসলাম, কৃষক লীগ নেতা শ্যামল সিংহ রায়, নিসচার কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, হাফেজ মইনুল ইসলাম, ইশিতা বিশ্বাস প্রমুখ।
এর আগে সকালে র্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উল্লিখিত অতিথিবৃন্দসহ বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মো. সাইফুল ইসলাম এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা আরো বলেন, রাস্তার ভুল নকশাসহ ১০৯টি কারণে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। চিহ্নিত কারণগুলো জনসাধারণের মধ্যে প্রচারের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব। দেশে অনেক চলচ্চিত্রকার, রাজনৈতিক নেতা, খেলোয়াড়ের মৃত্যুর উদাহরণ টেনে বক্তারা বলেন, দুর্ঘটনা কাউকে যে ক্ষমা করে না। একটি দুর্ঘটনা পরিবারের একাধিক সদস্যের সারাজীবনের বোঝা হয়ে যেতে পারে।
"