কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ১৯ অক্টোবর, ২০১৭

সাড়ে ৬ লাখ রোহিঙ্গা খেয়েছে কলেরার টিকা এইডসে আক্রান্ত ২৪

উখিয়া ও টেকনাফ ক্যাম্পে প্রথম ধাপে ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৫১৪ জন রোহিঙ্গাকে কলেরার টিকা খাওয়ানো হয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের এইচআইভি পজেটিভ রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এতে বাড়ছে উদ্বেগও। গতকাল বুধবার পর্যন্ত এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের একজন মারা গেলেও বাকিরা চিকিৎসাধীন।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে কলেরার জীবাণু ছড়িয়ে না পড়ার আগেই এই টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন আবদুস সালাম। সির্ভিল সার্জন জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া নতুন-পুরোনো রোহিঙ্গাদের জন্য নয় লাখ কলেরার ভ্যাকসিন আনা হয়েছে। দুই ধাপে করে এ টিকা খাওয়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। প্রথম ধাপে গত ১০ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ছয় লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গাকে কলেরা টিকা খাওয়ানোর সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে খাওয়ানো হয়েছে ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৫১৪ জনকে। তিনি আরো জানান, আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা কলেরার টিকা খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে এক বছর থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুরা আওতায় আসবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ২৪ জন এইচআইভি পজেটিভ রোগী পাওয়া গেছে। যাদের ২২ জন মিয়ানমারে থাকাকালীন শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত করে আসেন। আর বাংলাদেশে এসে দুজনের মধ্যে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। সবাইকে বিশেষভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এভাবে এইডস রোগী পাওয়া আমাদের জন্য অতি উদ্বেগের বিষয়। তবে একসঙ্গে খাওয়া, ঘুম বা স্বাভাবিক মেলামেশায় এইডস ছড়ায় না। শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্ক ও আক্রান্ত রোগীর রক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই রোহিঙ্গা নারীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানান তিনি। পাশাপাশি এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো গেলে শঙ্কা অনেকাংশে কমে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist