জবি প্রতিনিধি
জবিতে চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসের নতুন ভবন ও প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে জবি প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার জবির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার সময় মুঠোফোন অথবা ব্যাগ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। এতে বিপাকে পড়ে ভর্তিচ্ছুরা। তাদের দুর্ভোগের সুযোগ নিয়ে ‘ভারটেক্স গ্রুপ’ নামে একটি ভুয়া সেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে ছাত্রলীগের কয়েকজনকর্মী ব্যাগ রাখা কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু সেচ্ছাসেবী কাজের বিনিময়ে তারা ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে চাঁদা তোলে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। মুঠোফোন ও ব্যাগ এক ঘণ্টা জমা রাখার বিনিময়ে প্রতিজনের কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা চাঁদা তোলে তারা। এ সময় তারা এক ভর্তিচ্ছুর একটি আইফোন ছিনতাই করে। এই চাঁদার টাকা এবং আইফোন ভাগাভাগি করা নিয়ে গত রোববার দুই দফা মারামারি হয় ক্যাম্পাসে। এতে শাকিল চৌধুরী নামের হারুন-তাসভীর গ্রুপের এক কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে ভারটেক্স গ্রুপের তরিকুলের কর্মীরা। ওই ঘটনার জের ধরে গতকাল সোমবার আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে হারুন-তানভীর ও তরিকুল গ্রুপের কর্মীরা। দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রবেশপথে হারুন-তানভীর গ্রুপের রাতুল, সাগর, ওবাইদুর ও আলভিনসহ ১০-১২ জনকে ধাওয়া দেয় তরিকুল গ্রুপের মাসুদ, লিখন, শোভন, সোহান, মিলন, মাহফুজ ও তরিকুলসহ অন্তত ২০ জন কর্মী। পরে হারুন-তানভীর গ্রুপের কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তরিকুল গ্রুপের কর্মীদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় তাদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক বন্ধ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সময় আহত হয়েছেন হারুন-তানভীর গ্রুপের রাতুল, সাগর, ওবাইদুর ও আলভিন এবং তরিকুল গ্রুপের সোহান ও মাহফুজ। আহতদের স্থানীয় সুমনা মেডিক্যালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।
জবি প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মাদ এ বিষয়ে বলেন, ‘কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।’ চাঁদা তোলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ সম্পূর্ণ অবৈধ। ভারটেক্স গ্রুপ নামে জবিতে কোনো সংগঠন নেই। সাতজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আরো তদন্ত করে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
"