কক্সবাজার প্রতিনিধি
রোহিঙ্গাদের চিকিৎসাসেবায় কন্ট্রোল রুম
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধদের নিষ্ঠুর হামলার মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। গতকাল বুধবার দুপুরে কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসে এ কন্ট্রোল রুম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ। এ কন্ট্রোল রুমে কাজ করবে ২০টির অধিক বেসরকারি সংস্থা। এর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘ ও আরো সাতটি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা। এ সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে চরম অসহায় রোহিঙ্গাদের খাদ্য, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে।
উখিয়ার বালুখালী, কুতুপালং ও টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপসহ রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেওয়া অন্য স্থানগুলোতে নিয়মিত কাজ করছে সংস্থাগুলো। এসব সংস্থার সেবা পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নতুন জীবন ফিরে পাচ্ছে।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আবদুস সালাম বলেন, ‘লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এতে আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। এখন সবকিছু ম্যানেজ করতে হচ্ছে। তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। রয়েছে পুষ্টির অভাবও। এখনো আমরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি এবং শঙ্কিত। ভয়ে ভয়ে কাজ করতে হচ্ছে আমাদের। এতোমধ্যে উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি জায়গায় ৩৬টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। এসব কাজ তদারিক ও দ্রুত রোহিঙ্গাদের মাঝে চিকিৎসাসেবা পৌঁছানোর জন্য কন্ট্রোল রুমও চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে ২২ জন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ২৫ জন ও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে চিকিৎসকরা ক্যাম্পে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে আগে থেকেই কাজ করে আসছে অন্তত ১০টি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা। এর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের অধিভুক্ত ইউএনএইচসিআর, আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থা আইওএম, এসিএফ, এমএসএফ, ইউনিসেফ, ডব্লিউএফপি, রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল ও সেভ দ্য চিলড্রেন। এ ছাড়াও বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মধ্যে মুক্তি ও শেডসহ আরো কয়েকটি সংস্থা কাজ করছে। ২০টির অধিক সংস্থা রোহিঙ্গাদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। কন্ট্রোল রুমেও এসব সংস্থা কাজ করবে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সেবায় বেসরকারি সংস্থাগুলো এগিয়ে এসেছে। এটা ভালো উদ্যোগ। তারা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করছে।’
"