নিজস্ব প্রতিবেদক
উত্তরায় মনোনয়ন নিয়ে সতর্ক স্থানীয় আ’লীগ
রাজধানীর বৃহত্তর উত্তরা তথা ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখন মনোনয়ন ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। এলাকার সাতটি সাংগঠনিক থানার নেতারা এখন খুবই সর্তক অবস্থান নিয়েছেন। কোন নেতা কার মনোনয়ন পাওয়ার আশায় কাজ করছেন তা সহজে বুঝতে দিতে চান না কেউ। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে বর্তমান এমপি সাহারা খাতুন। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য, যিনি দুইবার এখান থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। হয়েছেন মন্ত্রীও। তবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছাকাছি থাকা এ নেত্রী এবার মনোনয়ন পাবেন কি না বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।
স্থানীয় প্রার্থীর লোকজন বলছেন, বয়সের কারণে এবার সাহারা আপাকে এ আসনে মনোনয়ন নাও দিতে পারে দল। ঢাকা শহরে দুই-একজন নেতা শুধু বার্ধক্য বিবেচনায় মনোনয়ন পাবেন না বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে সাহারা খাতুনের পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতা প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, এ আসনে সাহারা খাতুনের বিকল্প নেই। আপা এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছেন। নিজে সৎভাবে চলাফেরা করেন। দুর্নীতির থেকে শতহাত দূরে থাকা ক্লিন ইমেজের অধিকারী সাহারা আপাই আমাদের আসনের একমাত্র অবলম্বন। এদিকে, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার এ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান, এটাকে আপনারা কিভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে অধিকাংশ নেতা জানান, তারা সাহারা খাতুনকেই এমপি হিসেবে চান। তবে নতুন কাউকে দল মনোনয়ন দিলে তার পক্ষে কাজ করার কথাও জানান তারা।
এবার এ আসনে প্রার্থী বদল হতে পারে। সেই হিসেব ধরে স্থানীয় দুই প্রার্থী এবার জোরে সোরে মাঠে আছেন। তবে দলে অনেকের মতে, শেষ পর্যন্ত কি হয় তা বলার সময় এখনো আসেনি। সবাই যেহেতু দল করে, তাই মনোনয়ন চাইবার অধিকারও তাদের আছে। তাছাড়া বর্তমান এমপি সাহারা খাতুন দলীয় প্রধানের সুনজরে আছেন। তাই মনোনয়ন বদল হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
জানা যায়, ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এবার মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা জোট বাঁধার চেষ্টা করছেন। ছোট এসব জোটের নেতারা চান নৌকার টিকেট। নেতারা বলছেন, এ অঞ্চলে স্থানীয় কোনো লোকজনকে বিগত দিনে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তারা চান নিজের এলাকার কাউকে নৌকা প্রতীকে দেখতে। স্থানীয় অনেক নেতার সঙ্গে কথা বলেও এমনই জানা গেছে।
এবার মনোনয়ন নিতে চান এলাকার দুই প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা। তাদের একজন ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ হাবিব হাসান। যিনি এ অঞ্চলে আওয়ামী লীগের কা-ারী বলেই পরিচিত। এ বিষয়ে হাবিব হাসান বলেন, আমি তিনবার এই এলাকা থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছি। প্রতিবারই বলা হয়েছে ভবিষ্যতে দেখা হবে। দীর্ঘকাল থেকে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে অনেক অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছি। দলের কর্মসূচি পালনে অগ্রভাগে থেকেছি। আমাকে ঘিরে এলাকার সাধারণ মানুষের প্রত্যাশাও তৈরি হয়েছে। আশা করি, দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।
দলের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী মহানগর উত্তরের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও দক্ষিণখান ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এস এম তোফাজ্জল হোসেন। তার বড় ভাইও দীর্ঘদিন দক্ষিণখান ইউপির চেয়ারম্যান থাকায় উত্তরা এলাকায় একটি পারিবারিক বলয় তৈরি হয়েছে তাদের।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, পারিবারিকভাবে রাজনৈতিক এতিহ্য থাকায় আমরা সব সময় মানুষের সেবা করে আসছি। দল মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে জয়ও ছিনিয়ে আনতে পারব ইনশাল্লাহ।
"