লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
লাকসামে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ১০
লাকসামে বিএনপির কেন্দ্রীয় দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে গতকাল বুধবার উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১০ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর থেকে দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় দৌলতগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। গুরুতর আহত দুই নেতাকে কুমিল্লায় প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল এম. আনোয়ারুল আজিম গ্রুপের অনুসারী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহ আলম ব্যক্তিগত কাজে দৌলতগঞ্জ বাজারে অবস্থানকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এবং উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম (চৈতি কালাম) গ্রুপের অনুসারী আমান উল্লাহ তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কর্ণেল আজিম অনুসারী নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা বেলালের ওপর হামলা করে।
হামলায় গুরুতর আহত নূর হোসেন চেয়ারম্যান ও মাসুদ রানা বেলালকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লায় নেওয়া হয়। এ সময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা দৌলতগঞ্জ বাজারের ব্যাংক রোড ও ধান বাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মেছবাহুল ইসলাম ফয়সালকে কর্নেল আজিম অনুসারীরা বেদম মারধর করে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। আহতদেরকে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর থেকে বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ও শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সংর্ষষ এড়াতে শহরে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
কর্নেল আজিম অনুসারী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস. এম. তাজুল ইসলাম খোকন এ ব্যাপারে বলেন, চৈতী কালাম গ্রুপের নেতাকর্মীদের অতর্কিত হামলায় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম গুরুতর আহত হয়েছেন।
চৈতী কালাম অনুসারী ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবদুর রহমান বাদল এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল-মাহফুজ এ বিষয়ে বলেন, সংঘর্ষ এড়াতে শহরে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"