যশোর প্রতিনিধি

  ১১ আগস্ট, ২০১৭

ভারত থেকে আসছে পশু, চিন্তিত খামারিরা

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে যশোর সীমান্তের বৈধ ও অবৈধ উভয় পথেই ভারত থেকে গরু আসছে। অবৈধ পথে বা চোরাচালানের মাধ্যমে কী পরিমাণ গরু আসছে, এর হিসেবে কারো কাছে নেই। তবে বৈধ পথের একটি হিসাব রয়েছে কাস্টম ও ভ্যাট অফিসে। সেই হিসাব অনুযায়ী, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ওই সীমান্তে ১৬৭০টি গরু এবং ৩২০টি ছাগল এসেছে। এই সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়বে বলে কাস্টম ও গরু ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন। এতে জেলার খামারিদের কপালে পড়ছে চিন্তার ভাঁজ। তারা ঈদকে সামনে রেখে চাহিদার চেয়ে বেশি পরিমাণের পশু হৃষ্টপুষ্ট করেছেন। ভারত থেকে এভাবে পশু এলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যশোরের পশ্চিম প্রান্ত জুড়ে ভারতীয় সীমান্ত। সীমান্তের বেশিরভাগ স্থান জুড়ে রয়েছে কাঁটাতারের বেড়া। তবে যেসব স্থানে বেড়া নেই, সেসব পথে অনায়াসেই গরু আসে। আর যে পথে কাঁটাতারের বেড়া, সেখানে নেওয়া হয় ভিন্ন কৌশল। গরু-ছাগল মাঠে চড়ানোর নামে গেট দিয়েই পার করিয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য বিজিবি ও বিএসএফকে এজন্য দিতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা।

অন্যদিকে, বৈধ পথে গরু, ছাগল ও ভেড়া আনার জন্য বেনাপোলে কয়েকটি খাটালের অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়। তবে পুটখালী, অগ্রভুলট, দৌলতপুর, গোগা- এই ৪টি খাটালে বর্তমানে সীমিত সংখ্যক গরু আসছে। গত ৪-৫ বছর আগে পুটখালীসহ এসব খাটাল হয়ে প্রতিদিন ৩-৪ হাজার গরু আসত।

যশোরের নাভারনস্থ পশু শুল্ক করিডোরের সূত্র মতে, গত ১ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত এক সপ্তাহে ১৬৭০টি গরু এবং ৩২০টি ছাগল এসেছে। এই অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা কাস্টম ইন্সপেক্টর সুমা মনি জানিয়েছেন, বেনাপোল সীমান্তের ৪টি পশুহাট পুটখালী, অগ্রভুলট, দৌলতপুর ও গোগা দিয়ে যে পশু আসে, নাভারন করিডোরে এর ভ্যাট আদায় করা হয়। হিসাব করে দেখা গেছে, গড়ে প্রতিদিন ২০০-২৫০ পশু আসছে। ঈদকে সামনে রেখে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

এদিকে, কোরবানির আগে পশু আমদানি বেড়ে গেলে বা ভারত থেকে পশু আসা বৃদ্ধি পেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দেশি খামারিরা। তারা যে আশা নিয়ে গরু মোটাতাজা করেছিলেন, সেভাবে দাম না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন।

অবশ্য খুব বেশি ক্ষতি হবে- এমনটা মনে করেন না যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার। তিনি জানান, যদি দিনে ১০০-২০০ পশু আসে, তাহলে সেটা স্বাভাবিক। তবে দৈনিক হাজার হাজার পশু এলে দেশি পশুখামারিরা লোকসানে পড়বে।

এদিকে, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের হিসাব মতে, কোরবানি উপলক্ষে যশোরের ৮টি উপজেলায় ৬৮ হাজার ২৫টি পশু হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে। এর মধ্যে গরু ৩৫ হাজার ৭০০, ছাগল ২৯ হাজার ৩০০ এবং ভেড়া রয়েছে ৩ হাজার। আর জেলায় ৫৫ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। অর্থাৎ, ২৯ হাজার গরু এবং ছাগল-ভেড়া মিলে ২৬ হাজার। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বাইরের জেলায় কোরবানির পশু সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist