প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
প্রথম কলাম
৯১ বছর বয়সে স্নাতক ডিগ্রি
থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ ‘হায়াও’-এর এক নারী ৯১ বছর বয়সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে তার জীবনের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। দীর্ঘ ১০ বছরের পড়া শেষে গত মঙ্গলবার তিনি তার স্নাতক ডিগ্রির সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। ৯১ বছর বয়সী ‘নানি’ কিমলান জিনাকুল বলেছেন ‘আমার মধ্যে সবসময় শিক্ষাগ্রহণের প্রতি আলাদা একটা আকর্ষণ কাজ করত। সব সময় ভাবতাম শিক্ষা গ্রহণের কোনো বয়স নেই, যেকোনো সময়েই এটা করা যায়। আর এই নীতিতে বিশ্বাসী এই নারী এই বয়সেও তার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন।
থাইল্যান্ডের সুখোথাই থাম্মাথিরাত ওপেন ইউনিভার্সিটির হাজার হাজার শিক্ষার্থীর একজন এখন কিমলান জিনাকুল। তার জীবনের আরেকটা বিশেষ দিন বুধবার, গতকাল এদিন তাকে স্নাতক ডিগ্রির সার্টিফিকেট প্রদান করেন থাই রাজা ‘দশম রাম’। কিমলান লামপাং প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি ফায়াও প্রদেশে বসবাস শুরু করেন। একজন বৃদ্ধ নারী হিসেবে কিমলানের প্রতিদিনের রুটিন ছিল- সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে তিনি যেতেন বুদ্ধ মন্দিরে প্রার্থনার জন্য। এরপর প্রতিবেশী একটি মন্দির ঘুরে পড়ালেখার জন্য চলে যেতেন। ‘হিউম্যান এন্ড ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট’ নিয়ে পড়েছেন তিনি। ব্যাংককে তার ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে বসে বিবিসির সঙ্গে এসব কথা বলেছেন কিমলান। একজন নানীর বয়সী মানুষের দৈনন্দিন জীবন এমনই হতে পারে। কিমলান প্রতিদিন সকালে মন্দিরে প্রার্থনা শেষে কমিউনিটির মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন।
চীনা বংশোদ্ভূত পরিবারে জন্ম নেওয়া কিমলান বেড়ে উঠেছেন লামপাং-এ। প্রদেশের শীর্ষ স্কুলে তিনি ছিলেন মেধাবী শিক্ষার্থীদের একজন। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তার পরিবারে ব্যাংককে চলে আসতে বাধ্য হয় এবং সেখানেই তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর নিজের পড়ালেখাটাও আবার শুরু করেন কিমলান। পাঁচ সন্তানের মা কিমলানের চার সন্তানই মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং একজন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি করেন। কিমলানের এক মেয়ে তাকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনে উৎসাহ জোগায়। সুখোথাই থাম্মাথিরাত ওপেন ইউনিভার্সিটিতে তার মেয়েই তাকে ভর্তি করেন।
"