নিজস্ব প্রতিবেদক
সংসদ বহাল রেখে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়
এমাজউদ্দীন
জাতীয় সংসদ বহাল রেখে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনা মোতায়েন এবং নির্বাচনের আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ : নিরপেক্ষ নির্বাচনে সংকট ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন বিএনপিপন্থি এই বুদ্ধিজীবী। বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডায়ালগ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিসিডিডি) নামক একটি সংগঠন ওই সভার আয়োজন করে।
ড. এমাজউদ্দীন বলেন, দেশের সুশীলসমাজের প্রতিনিধিরাও চায়, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হোক। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নির্বাচনে আগে সেনা মোতায়েন হওয়ায় নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচন নিয়ে তখন কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত হয়। জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে তাদের সহযোগিতা নেব না কেন? সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা রয়েছে।
খালেদা জিয়ার অন্যতম পরামর্শক হিসেবে পরিচিত ড. এমাজ উদ্দীন আহমদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন অবশ্যই জরুরি। কিন্তু এর পাশাপাশি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিবেশ নেই। ২০১৪ সালের নির্বাচন ছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ভয়ঙ্কর সমালোচনার এবং হাস্যকর।
কমিশনের দেওয়া নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ সম্পর্কে তিনি বলেন, রাস্তার চূড়ান্ত চিত্র অঙ্কন করতে হলে চূড়ান্ত গন্তব্য তৈরি করতে হয়। বাংলাদেশের গন্তব্য হচ্ছে নিরপেক্ষ নির্বাচন, যা জনগণ এবং বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এরপর রোডম্যাপ দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশন ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসবে সংসদ ভেঙে দেওয়ার- এমনটাই আশা করি।’
সংগঠনটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জিনাপের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।
"