হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
দুবাইয়ে ফাঁসির আসামির জন্য সরকারি হস্তক্ষেপ চাইলেন স্ত্রী
বিনা বিচারে পাঁচ বছর যাবত দুবাই কারাগারে থাকা স্বামীর মুক্তি চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গরগাঁও গ্রামের রুমা আক্তার নামে এক গৃহবধূ। গত রোববার হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান রুমা।
তিনি বলেন, আট বছর আগে তার স্বামী ফয়সল মিয়া দুবাই যান। বিদেশে যাওয়ার পর গত ২০১৩ সালে সেখানে একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যার শিকার হন বাংলাদেশি নাগরিক শফিকুল ইসলাম। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার ধুলিয়াকান্দি সরিষাবাড়ি গ্রামে। হত্যাকান্ডের পর থেকেই প্রধান অভিযুক্ত বাচ্চু মিয়া দুবাই থেকে পালিয়ে আসেন। তার বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর বলে তিনি জানান। হত্যাকা-ের পর সন্দেহবশত আমার স্বামী ফয়সল মিয়া ও নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার সাতাশি গ্রামের এরশাদ মিয়াকে দুবাই পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর থেকে তারা দুজনই পাঁচ বছর ধরে দুবাইয়ের জেলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
উল্লেখ্য, গ্রেফতার হওয়ায় নেত্রকোনার এরশাদ মিয়া নিহত শফিকুল ইসলামের শ্যালক। তারা সবাই একই মেসে থাকতেন। সেই সুবাধে এরশাদ ও নিহত শফিকুল ইসলামের সঙ্গে তার স্বামীর পরিচয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, খুব সংক্ষিপ্তভাবে সেখানে বিচারের আয়োজন করা হয় এবং পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ ব্যতিরেকেই হত্যাকান্ডের মামলাগুলোতে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। আমি জানি না নিহত শফিকুল ইসলামের সঙ্গে শ্যালক এরশাদ মিয়ার কোনো পারিবারিক বিরোধ ছিল কি না। যদি থেকেও থাকে তাহলেও তো আমার স্বামীর সঙ্গে বিরোধ থাকার কথা নয়। বিদেশের মাটিতে একটি হত্যাকান্ডের সঙ্গে আমার স্বামী কোনোভাবেই জড়িত নন। এর পরও আমার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়। এখন আমার স্বামী দুবাইয়ে ফাঁসির অপেক্ষমাণ আসামি হিসেবে আছেন। এসব পত্র বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে নিহত শফিকুল ইসলামের পরিবারকেও জানানো হচ্ছে। কিন্তু শফিকুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো রকম সাড়া দেওয়া হচ্ছে না। তাতে রুমা আক্তার বারবার হতাশ হচ্ছেন। তার আশঙ্কা যেকোনো দিন ফাঁসি দেওয়া হতে পারে তার স্বামীকে। এ অবস্থায় তিনি তার স্বামীর মুক্তির ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
"