চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ২৪ জুলাই, ২০১৭

বৃষ্টিতে ফের তলিয়েছে চট্টগ্রাম, দুর্ভোগ চরমে

বৃষ্টির পানিতে ফের চট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। গত শনিবার রাত থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, আছাদগঞ্জসহ হালিশহর, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও ও বাকলিয়া এলাকা। দোকান ও বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এ ছাড়া যানবাহন সংকটে কর্মস্থলে যাওয়া মানুষকে পড়তে হয়েছে চরম বিপাকে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ফরিদ আহমেদ বলেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৮৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে নগরীর চকবাজার, বাদুরতলা, আরাকান হাউজিং, বাকলিয়া, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, হালিশহর, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিকসহ নিচু এলাকাগুলো হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায়।

বকশির হাট ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জামাল হোসাইন বলেন, চাক্তাইখালের পূর্ব পাশের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। অনেক বাসাবাড়িতেই এখন হাঁটু থেকে গলা পর্যন্ত পানি জমে গেছে।

মোহরা এলাকার বাসিন্দা আলম দিদার বলেন, ১৯৯১ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের এলাকায় পানি উঠেনি। কিন্তু রোববার রাস্তা-ঘাট ছাড়িয়ে বাড়ি-ঘরে পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। অনেকেই দুপুরের রান্না করতে পারেননি।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছগির আহমদ বলেন, আসাদগঞ্জ, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জের অনেক গুদাম, আড়ত ও দোকানে পানি ঢুকে পণসামগ্রী নষ্ট হয়েছে। প্রায় ছয় হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানিতে ডুবেছে। জনপ্রতিনিধিরা শুধু ভোটের সময় আসেন, আমাদের দুর্ভোগের সময় দেখতেও আসেন না।

এদিকে, অভিযোগ রয়েছে, নগরীর খাল নর্দমাগুলো প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করা হয় না। লোক দেখানো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কারণে জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসী মুক্তি পাচ্ছে না। নগরীর প্রায় খালগুলোতে আবর্জনা দিয়ে ভরাট হয়ে গেছে। এইসব খালগুলো ভালো করে খনন করার তেমন উদ্যোগ নেই। বরং কিছু কিছু খাল থেকে আবর্জনা তুলে খালের পাড়ে রাখা হয়। ফলে বৃষ্টি হলে সেই আবর্জনাগুলো ফের খালে গিয়ে পড়ছে।

এদিকে, কালুরঘাট-আগ্রাবাদ সড়কে ফ্লাইওভারের কাজ চলায় এবং ওয়াসার মেরামত কাজের জন্য রাস্তা কাটা থাকায় আরাকান সড়কের বিভিন্ন স্থানেও পানি জমে গেছে। রাস্তায় যানজট ও জলজট থাকায় যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় চলমান অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। সবাইকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হতে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে আমরা কাজ করছি। এ ছাড়া অব্যাহত অতি বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢলে বন্যা ও নদী ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করতে বলা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist