মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
এক দিনেই কুকুরের কামড়ে আহত অর্ধশতাধিক
মানিকগঞ্জে এক দিনে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার পেচারকান্দা, বানিয়াজুরি, শহরের বান্দুটিয়া, বেউথা, জয়রা, সেওতা, গঙ্গাধরপট্টি এলাকাসহ ২০-২২টি এলাকায় পাগলা কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
একসঙ্গে এত রোগীর চিকিৎসা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হয়েছে। হঠাৎ কুকুরের এই আক্রমণে আতঙ্কিত হয়েছে এলাকার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসতে থাকে একে একে আক্রান্তরা। মুহূর্তের মধ্যেই হাসপাতাল চত্বরে ভরে যায় আক্রান্ত মানুষে। এ সময় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদের। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়িয়ে চিকিৎসা দিতে হয় হাসপাতাল চত্বরে। দুপুর পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ৬৬ জন আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। আক্রান্তরা জানান, হঠাৎই পেছন থেকে এসে কামড়িয়ে পায়ের মাংস তুলে নিচ্ছে পাগলা কুকুর। ক্ষতবিক্ষত করেছে শরীরের বিভিন্ন অংশ। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, একসঙ্গে এত রোগী তারা এর আগে দেখেননি। আক্রান্তদের ক্ষতস্থানে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাজেরা খাতুন বলেন, আক্রান্ত ৬৬ জনকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কুকুর নিধন করা যাচ্ছে না। মন্ত্রণালয়ে কুকুর নিধনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে হারে কুকুর বেড়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। পৌর এলাকায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় কুকুরের আক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। জনস্বার্থে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।
"