নিজস্ব প্রতিবেদক
লংগদুর হামলায় প্রশাসনের সায় ছিল : অভিযোগ
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বাঞ্ছিতা চাকমা বলেছেন, রাঙামাটির লংগদুতে পাহাড়ি গ্রামে হামলায় স্থানীয় প্রশাসনের সায় ছিল। স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) অন্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা সেখানে উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।
‘মানবাধিকারের সর্বজনীন সময়ভিত্তিক পরিবীক্ষণ (ইউপিআর) ও বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের অধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় কথাগুলো বলেন বাঞ্ছিতা চাকমা। গতকাল রোববার রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার ভবনে এই সভার আয়োজন করে কোয়ালিশন অব ইনডিজিনাস পিপলস অর্গানাইজেশন অন ইউপিআর। গত ২ জুন রাঙামাটির দুর্গম লংগদু উপজেলা সদরের চারটি গ্রামে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের অন্তত ২০০ বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি জনপদে হামলার ঘটনা ঘটে।
সভায় বাঞ্ছিতা চাকমা নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘২০১২ সালে রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলাম আমি। সেসময় আমাদের নিরাপত্তায় পুলিশ দেওয়া হয়। অথচ পুলিশের উপস্থিতিতেই পাহাড়িদের ওপর হামলা হয়। সে বছরের ওই ভয়াবহ হামলার কোনো বিচার হয়নি।’ তিনি আরো বলেন, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের ওপর হামলা হলেও এর বিচার হয় না। অপরাধ করেও নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্যই অপরাধীরা ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের ওপর বারবার হামলার সুযোগ পায়।
সভায় বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি নিয়ে সরকার ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের সঙ্গে চালাকি করে যাচ্ছে। অতি চালাকের গলায় দড়ি বলে একটা কথা আছে। এ কথা মনে রাখা দরকার। জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেনের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ পড়েন মানবাধিকার সংগঠন কাপেং ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়ক বাবলু চাকমা। ফাল্গুনী ত্রিপুরার সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন অজয় এ মৃ ইউজিন নকরেক প্রমুখ।
"