আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৬ জুলাই, ২০১৭

ছেলেকে মানুষ করতে মায়ের মরণখেলা

নিজে বেশি দূর পড়তে পারেননি, কিন্তু ছেলেকে মানুষ করতে চান এক মা। ছেলের বয়স পাঁচ বছর, পড়াচ্ছেন ভালো ইংরাজি মাধ্যমের স্কুলে। তাকে নিয়ে মায়ের অনেক বড় স্বপ্ন, কিন্তু অর্থের সংস্থান কোথায়? এ কারণে সেই স্বপ্ন পূরণে প্রতিদিন মৃত্যুকূপে মোটরসাইকেলে খেলা দেখান মা। এ ঘটনা ভারতের রাঁচিতে। সেখানে জগন্নাথপুর মেলায় প্রতিদিন মৃত্যুকূপে খেলা দেখান তিনি। মায়ের নাম রেহানা।

এই মেলায় আয়োজন করা হয়েছে মোটরসাইকেল কসরত-মৃত্যুকূপ। এই খেলায় প্রতিদিনই এখন অংশ নেন রেহানা। ৩০ ফুট গভীর কূপের দেয়াল ঘিরে রেহানার কর্ষত দেখে হাততালি দেন দর্শকরা। কূপে মাচার মতো একটি জায়গায় মই দিয়ে উঠে দর্শকরা খেলা দেখেন। রেহানার খেলা দেখতে এতটাই ভিড় হচ্ছে যে মাচা ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় করছে মেলা কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি দর্শক ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। সাধারণত এই ধরনের খেলায় পুরুষ খেলোয়াড়দেরই আধিপত্য দেখা যায়। শুধু ছেলের জন্যই অর্থ উপার্জনের এই পথ বেছে নিয়েছেন মা রেহানা।

রেহানার ছেলে থাকে দিল্লির সন্তনগরে, তার নানা-নানির কাছে। রেহানা বলেন, ‘ছেলেকে মানুষ করার জন্য মায়েরা কত কিছুই তো করে। আমি এই বিপজ্জনক খেলা দেখাচ্ছি। উপার্জন করছি। ছেলের মুখ মনে পড়লে কোনো বিপদকেই আর বিপদ বলে মনে হয় না।’

দিল্লির সন্তনগরের খুবই গরিব পরিবারের মেয়ে রেহানা একটু বড় হতেই এক প্রতিবেশীর মোটরসাইকেল নিয়ে চালানো শেখেন। পরে বন্ধুদের মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন তিনি। তিনি বলেন, ‘একবার আমাদের পাড়ায় এ রকম মৃত্যুকূপের খেলা বসেছিল। আমি ঠিক করলাম ওই খেলা আমিও দেখাব।’ প্রথমে ওই খেলার আয়োজকরা তাকে নিতে চাননি। পরে তার আগ্রহ দেখে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। চমৎকার খেলা দেখান। পরে ওই আয়োজকের একজনকে বিয়ে করেন তিনি।

রেহানা বলেন, ‘আমি ছেলেকে ভালো স্কুলে পড়াচ্ছি। ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের কাছে এই ৩০ ফুটের মৃত্যুকূপ তো কিছুই না। সূত্র- আনন্দবাজার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist