নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ জুন, ২০১৭

ভিড় এখন মসলার বাজারে, দাম বেশি

ঈদ সামনে রেখে মসলার বাজারে এখন বাড়ছে ভিড়। এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মসলা আমদানিকারকদের দাবি, নতুন করে ভ্যাট বৃদ্ধির আশঙ্কায় কিছুটা বেশি দামে মসলা কিনতে হচ্ছে। এদিকে, নতুন ভ্যাট যেহেতু কার্যকর হয়নি তাই পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণ নেই। তবে ভ্যাট বাড়ার খবর শুনে খুচরা বাজারে কিছুটা দাম বাড়তে পারে বলে মত দিয়েছেন পাইকারি মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. এনায়েতুল্লাহ।

এনায়েতুল্লাহ বলেন, দেশে মসলার চাহিদা ও সরবরাহ ঠিক আছে। পাইকারি পর্যায়ে মসলার বিক্রি শেষ। ঈদের আগে এখন খুচরা বাজারে বিক্রি চলেছে। নতুন ভ্যাট যেহেতু কার্যকর হয়নি তাই পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণ নেই। তবে ভ্যাট বাড়ার খবর শুনে খুচরা বাজারে কিছুটা দাম বাড়তে পারে।

কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল বাজারে ঘুরে দেখা গেল ক্রেতারা মসলার দোকানে ভিড় করছেন আর কিনছেন নানা রকমের মসলা। এসব বাজারে মসলার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ছোট এলাচের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ছোট এলাচ আকার ও রকম ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে। দারুচিনি প্রতি কেজির দাম ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা, লবঙ্গ ৯০০ থেকে ৯২০ টাকা, জিরা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, গোল মরিচ ১ হাজার টাকা, তেজপাতা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, কাঁচা বাদাম ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, কিসমিস ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা, কাঠবাদাম প্রতি কেজির দাম ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা।

মাংস রান্নার অন্যতম মসলা আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যে আদা বিক্রি হতো ৭০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে, আজ খুচরা বাজারে তা বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। এ ছাড়া পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, চীনা রসুন ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, দেশি রসুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন মুদি দোকানে প্যাকেটজাত মসলার নানা ধরনের গুঁড়ার মধ্যে প্রতি ১০০ গ্রাম ধনিয়ার গুঁড়া ৩৫ টাকা, মরিচের গুঁড়া ৪৬ টাকা, হলুদের গুঁড়া ৪২ টাকা, জিরার গুঁড়া ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে পাইকারি ও খুচরা মসলা বিক্রেতা সোনালি জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা মো. দুলাল হোসেন বলেন, ঈদের আগে আগে মানুষ মসলার বাজারে আসতে শুরু করে। আগের কয়েক দিনের তুলনায় এখন দোকানে মানুষ আসছে বেশি। বেচা-বিক্রিও বেশ ভালো। দাম বেড়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজেটের পর বিভিন্ন মসলার দাম কিছুটা বেড়েছে।

উপহার জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন, ঈদে ছোট এলাচ, দারুচিনি, জিরার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এর বাইরে তেজপাতা কেনেন ক্রেতারা। মাংস, পোলাও, সেমাই রান্না করতে নানা ধরনের মসলা ব্যবহৃত হয়। তবে কোরবানি ঈদের মতো মসলা এই ঈদে বেশি বিক্রি হয় না। চাঁদরাতে মসলার বাজারে মানুষ সবচেয়ে বেশি ভিড় করে। এবারও চাঁদরাতে বেশি ক্রেতা মসলার দোকানে ভিড় করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

চার দিন আগে শাহজালাল জেনারেল স্টোরে গিয়ে কথা হয় দোকানটির স্বত্বাধিকারী শাহজালালের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছিলেন মসলার বাজারে ক্রেতা কম আসছে। গতকাল সকালে তিনি বলেন, ‘হ এখন লোক বেশি আসতেছে। বিক্রিও বাড়ছে। আশা করি, চানরাত পর্যন্ত ভালোই বেচাকেনা হইবো।’

কারওয়ান বাজারে মসলা কিনছিলেন গার্ডেন রোডের বাসিন্দা আবদুস ছাত্তার। তিনি বলেন, ঈদের তো আর খুব বেশি বাকি নেই। তাই সেমাই-চিনি, মাছ-মাংসের সঙ্গে মসলাও কিনছেন। তিনি দারুচিনি, ছোট এলাচ, জিরা, লবঙ্গ এসব কিনেছেন। সব মসলার ক্ষেত্রে দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানান তিনি।

হাতিরপুলে কথা হয় বেসরকারি ব্যাংকের চাকরিজীবী তানজিলা আহসানের সঙ্গে। তিনি জানান, সারা বছরই টুকটাক মসলা কেনা হয়। তবে দুই ঈদের আগে মসলা বেশি কেনেন তিনি। তিনি বলেন, মসলার ওপর রান্নার স্বাদ অনেকাংশ নির্ভর করে। তাই দেখে শুনে মসলা কিনছি। দাম বেড়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব বেশি দাম বাড়েনি। তবে ঈদের আগে মসলা ভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist