ফরিদপুর প্রতিনিধি

  ২৯ মে, ২০১৭

ফরিদপুরে আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে সরোয়ার মাতুব্বার (৩১) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের লক্ষনদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সরোয়ার বনগ্রামের মৃত খাদেম মাতুব্বারের ছেলে। সংঘর্ষ চলাকালে বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলুর সঙ্গে লক্ষনদিয়া গ্রামের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর মাতুব্বরের সঙ্গে বিরোধ ছিল। হাফিজুর মাতবর মৃত তেহারুদ্দিন মাতবরের ছেলে। গত শনিবার রাতে চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সঙ্গে হাফিজুরের সমর্থকের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এরই জের ধরে গতকাল সকালে উভয় দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা, রামদা-ছোরা, ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক বসতঘর ভাঙচুর, ৪-৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক লুটপাট করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সরোয়ার মাতবর ঘটনাস্থলেই মারা যান। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে সালথা থানা পুলিশ ১৫৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৬২টি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেন। এতে উভয় দলের অন্তত ২৫ জন আহত হন। আহতদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে হাফিজুর রহমান বলেন, ‘লাভলু বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে এলাকার নিরীহ মানুষের ওপর জুলুম অত্যাচার শুরু করেছে। এলাকায় আমার মরহুম পিতার জনপ্রিয়তা সইতে না পেরে প্রতিনিয়ত আমাদের পরিবারের ওপর অত্যাচার করে আসছে। কিছুদিন আগেও আমাদের বাড়িসহ এলাকার নিরীহ মানুষের বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমার বাড়িতে ভাঙচুর ও হামলা চালিয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষ এই নব্য আওয়ামী লীগ নেতার হাত থেকে মুক্তি চাই।’

এদিকে লাভলু চেয়ারম্যান বলেন, ‘হাফিজুরের লোকজনই আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’ ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার ও নগরকান্দা-সালথা সার্কেল এফ এম মহিউদ্দীন বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় চারজনকে আটক করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist