আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৫ মে, ২০১৭

সুবোধ বালক থেকে আত্মঘাতী হামলাকারী

সালমান আবেদি (২২)। গত সোমবার ম্যানচেস্টারে তার আত্মঘাতী হামলায় ঝরে গেছে ২২টি নিরপরাধ প্রাণ। সালমানকে ছোট থেকে যারা দেখেছেন, তারা সালমানের এই রূপের কথা জানতে পেরে হতভম্ব! এক সময়ের শান্ত-সুবোধ, চুপচাপ বালক সালমান কিভাবে আত্মঘাতী হামলাকারী হলেন- এ প্রশ্ন তাদেরও। ম্যানচেস্টারে বাস করলেও ধর্মীয় রীতিনীতি পুরোপুরি মেনে চলত সালমানের পরিবার। পরিবারের সব সদস্য স্থানীয় মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়তেন। সালমানের পরিবারকে কাছে থেকে দেখেছেন- এমন কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, সালমানের ভাই ইসমাইল বেশ চঞ্চল প্রকৃতির ছেলে। তবে সালমান খুব শান্ত। এলাকার মানুষের প্রতি সব সময় সম্মান দেখাতেন।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়ার সাবেক একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফির আমলে লিবিয়া ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমায় সালমানের পরিবার। সালমানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ম্যানচেস্টারেই। চার ভাইবোনের মধ্যে সেজো সালমান। এ ঘটনার আগ পর্যন্ত অন্তত সুবোধ ও শান্ত ছেলে হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি।

১০ বছর আগে ম্যানচেস্টারের দক্ষিণাংশে বাস করতে শুরু করে সালমানের পরিবার। ম্যানচেস্টারের এই অংশে লিবিয়া থেকে আসা বহু মুসলিম পরিবারের বাস। এলাকাবাসী জানায়, অন্য ভাইবোনদের চেয়ে সালমান ছিলেন বেশি চুপচাপ-শান্ত। সে যে এমন এক ঘটনা ঘটাতে পারে তা যেন অবিশ্বাস্য ঠেকছে সবার কাছে।

২০১৪ সালে ম্যানচেস্টারে নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় সালফোর্ডে ব্যবসায় শিক্ষা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন সালমান। তবে দুই বছর পর ডিগ্রি না নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন তিনি। শান্ত প্রকৃতির সালমান এই দুই বছরে কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ভবনেও থাকতেন না। কোনো অপরাধের সঙ্গে কোনো দিন তার নাম ওঠেনি।

এই সালমানই গত সোমবার শরীরে বিস্ফোরক জড়িয়ে আত্মঘাতী হন বলে জানায় ম্যানচেস্টার পুলিশ। শান্ত এই ছেলেটির মনে যে সহিংস ভাবনা ঢুকেছিল তা বোঝা যায় মসজিদের এক ইমামের বক্তব্যে। ওই ইমাম জানান, ২০১৫ সালে ঘটা এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একদিন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি। সালমান বেশ খেপে যান। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তার বক্তব্যের।

সালমানের বন্ধুরা জানান, তিন সপ্তাহ আগে লিবিয়া গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরেন কয়েক দিন আগে। এই সফরই তাকে এ সন্ত্রাসী হামলা চালাতে মদদ দিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আরো কোনো বড় নেটওয়ার্ক জড়িত আছে কি না তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist