নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসির সংলাপ জুলাই-নভেম্বরের মধ্যে : সিইসি
একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, পর্যবেক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে চলতি বছরের জুলাই থেকে নভেম্বরের (মাঝামাঝি) মধ্যে সংলাপ করবে নির্বাচন কমিশন। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা এ কথা জানান। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত দলগুলোসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সংলাপ করব। সীমানা পুনর্নির্ধারণ, আইন সংস্কার, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র, ইসির সক্ষমতা বাড়ানো ও সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি-এ সাত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সিইসি বলেন, যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ডিসেম্বরের শেষার্ধ্ব থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের জন্য উপযুক্ত সময়। আমরা নিজেরা (কমিশন) বসে ভোটের তারিখ দেব। প্রস্তাবিত ‘রোডম্যাপ’ নিয়ে মঙ্গলবার প্রথমদফা আলোচনা সেরেছেন বলে জানান নুরুল হুদা। আমরা খসড়া নিয়ে বসেছি; চূড়ান্ত হতে আরো ১৫-২০ দিন সময় লাগবে। এরপরই আমরা প্রস্তাবগুলো নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করব।
জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে আলোচনাও একই সঙ্গে চলবে বলে জানান সিইসি; যদিও বিএনপি এরই মধ্যে ইভিএমে আপত্তি জানিয়ে ইসিকে চিঠি দিয়েছে।
নুরুল হুদা বলেন, ইভিএমকে আমরা সামনে রাখতে চাই। এর প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো সবার কাছে উপস্থাপন করা হবে। প্রযুক্তি নিয়ে সবাই একমত হলে তা ব্যবহারের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি থাকবে আমাদের। তবে রাজনৈতিক দলগুলো একমত না হলে জোর করে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না বলে জানান সিইসি।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
"