ফেসবুকে প্রেম। অতঃপর ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে পেতে সুদূর থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে এসে প্রেমিক যুবককে বিয়ে। গল্পটি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আজাদ হোসেনের ছেলে মোবাইল মেকানিক অনিক খান (২২) ও থাই নাগরিক সুপুত্তো ওরফে ওম ওরফে সুফিয়া খাতুনের (৩৬)। গত বুধবার নাটোর আদালতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বর অনিকের নাটোরের শাহগোলা বাজারে একটি মোবাইলের দোকান রয়েছে। অনিক বলেন, ফেসবুকে প্রথমে সুপুত্তো ওরফে ওমের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। এরপর মোবাইলে কথাবার্তা। অনিক খুব বেশি লেখাপাড়া না জানলেও ভাঙা ভাঙা ইংলিশে কথা বলতে পারেন।

অনিক জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে বাবা-মায়ের অনুমতি নিয়ে প্রেমের টানে সুপুত্তো বাংলাদেশে ছুটে আসেন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান অনিক। এত দিন যার সঙ্গে পরিচয় ছিল ভার্চুয়াল জগতে, বাস্তবে তাকে দেখে আরো ভালো লেগে যায়। সুপুত্তো বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সে অনিকের বাড়িতে আসে। এরপর অনিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে নিজেই বিয়ের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, সে যাত্রায় অনিকের পরিবারের লোকজন বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া দেননি। পরে পারিবারিক সম্মতি আদায়ে সফল হন।

সুপুত্তো বলেন, ‘থাইল্যান্ডের সমাজে বহু বিবাহ একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি এটা পছন্দ করি না। তাই বিয়ে করছিলাম না। হঠাৎ করে ফেসবুকে বাংলাদেশের অনিকের সঙ্গে পরিচয় হয়। ওর সরলতা আমাকে মুগ্ধ করে। ওকে আপন করে নেওয়ার জন্য বারবার এ দেশে ছুটে এসেছি। বিয়ে করে আমি এখন দারুণ সুখী।’

ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠা প্রসঙ্গে ৩৬ বছর বয়সী সুপুত্তো বলেন, পড়াশোনা শেষ করে তিনি প্রথমে ব্যাংকে চাকরি করতেন। সেটা ছেড়ে দিয়ে এখন ফাস্টফুডের ব্যবসা করেন। অনিকের বাবা আজাদ হোসেন বলেন, ‘মেয়েটি খুব ভালো। আমাদের আপন করে নিয়েছে। আমরা গরিব, শিক্ষিতও না। কিন্তু এ নিয়ে ওর কোনো কষ্ট নেই।’

"