কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পরিষদে টেন্ডার দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চত্বরে গত সোমবার বিকেলে ওই সংঘর্ষে জড়িত অভিযোগে পুলিশ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস ওয়াহেদ জোয়ার্দারসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে মিরপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান।

উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের আহ্বানকৃত দরপত্র ক্রয় করাকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন এবং পৌর মেয়র এনামুল হক পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, মিরপুর উপজেলায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এডিবির অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) ১ কোটি ২০ লাখ টাকার উন্নয়নমূলক কাজ ও সরঞ্জাম ক্রয়ের দরপত্র বিক্রি শুরু হয় গত সোমবার। এলজিইডি অফিসের মধ্যে দরপত্র ক্রয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বের করে দিয়েছি। পরে কী হয়েছে আমার জানা নেই। এনামুল হক এ বিষয়ে বলেন, ‘মিরপুরের সর্বত্র উপজেলার চেয়ারম্যানের সমর্থক বলে পরিচয়ধারীরা এককভাবে দখলদারিত্ব কায়েম করে চলেছে। উপজেলার হাট, ঘাট, বাজার, জলমহালসহ সব প্রতিষ্ঠানকে কুক্ষিগত করে রেখেছে তারা। বিকেলে উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিনের সমর্থক পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস ওয়াহেদ জোয়ার্দার নেতৃত্বে হামলা ও মারধরে পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। ওসি বলেন, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস ওয়াহেদ জোয়ার্দারকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

"