সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১২ জুলাই, ২০২০

গ্রামে এখনো টিকে আছে হাতুড়ে কর্ণচিকিৎসা

‘এই যে বাই আইসেন বইসেন। কানের যত ব্যথা বেদনা, কানে কম শোনা আর কানের মধ্যে গুড় গুড় শব্দ করা এক ঘণ্টায় ক্লিয়ার করা হয়। তাছাড়াও দীর্ঘদিনের স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ, ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া-বিবাদ দূর করাও হয়। মনের মানুষকে বশে আনার সব ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।’

গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে এমনি হাঁকডাক আজকালের আবর্তে হারিয়ে গেলেও এখনো চোখে পড়ে কর্র্ণচিকিৎসক খচিত টিনের বাক্স কাধে নিয়ে লুঙ্গি পড়া চিকিৎসকদের। তাদের বাক্সে থাকে আট-দশ রকমের শিশিভর্তি ওষুধ তুলা আর কান পরিষ্কার করার ছোট ছোট লোহার কাঠি।

এরা মানুষকে হাটে ঘাটে মাঠে যেকোনো জায়গায় বসিয়ে এই চিকিৎসকরা মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকে। আর গ্রাম বাংলার খেটে খাওয়া কানঠসা (কানে কম শোনা) বৃদ্ধ লোকসহ অল্প আয়ের মানুষরাই এদের মূল গ্রাহক। এই হাতুড়েরাই কানের সমস্যায় গরিবের ডাক্তার।

চিকিৎসক আবু হামজা এ ব্যাপারে জানান, আল্লায় দিলে এই চিকিৎসা করে দৈনিক ২০০-৪০০ টাকা রোজগার করি। তাতে ডাল ভাতের জোগাড় অয়। তবে চিকিৎসা কার্যে কোনো ওষুধ, নাকি পানি দিয়ে কানে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করা হয় তা একমাত্র এই হাতুড়ে ডাক্তাররাই জানেন।

কানের চিকিৎসায় আরোগ্য হওয়া বৃদ্ধ হারান আলী জানান, কানের অসুবিধার জন্য কিছুই শুনতে পেতাম না। এহুন কানে হুনবার পারি, আল্লায় দিলে কান ভালো অইছে। এখন আমার স্ত্রী অন্যদের কথাবার্তা শুনতে পারি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close