নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১১ জুলাই, ২০২০

আনন্দবাজারের খবরের প্রতিবাদ জানাল বিজিবি

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় ৭ জুলাই প্রকাশিত ‘অরক্ষিত জমিতে পা পড়েছে বাংলাদেশির’ খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল শুক্রবার বিজিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আনন্দবাজার পত্রিকার ওই প্রতিবেদন ছিল ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলামের পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পত্রিকায় ঘটনাস্থল রানীনগর সীমান্তের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেখানে কোনো ঘটনা ঘটেনি। এলাকাটি রাজশাহী বিজিবির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা চারঘাট বিওপি থেকে শুরু করে তালাইমারি বিওপি পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এখানে পদ্মা নদী বরাবর শূন্যলাইন অতিক্রম করেছে। সংবাদে বলা হয়, সীমান্তের রানীনগর ১ ও ২ ব্লক এবং জলঙ্গিজুড়ে প্রায় ২২ হাজার একর অরক্ষিত জমিতে বাংলাদেশিরা অবাধে চাষাবাদ করছেন। এই প্রসঙ্গে দেখা যায় বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভারতের অভ্যন্তরে গিয়ে চাষাবাদ করা তো দূরের কথা, বর্তমানে আন্তর্জাতিক সীমারেখা বরাবর চাষাবাদ করাই অসম্ভব। সেখানে প্রতিনিয়ত শূন্যলাইন বরাবর বিজিবি সদস্যরা রাত-দিন টহল করে সীমান্ত রক্ষা করছেন।

বিজিবি তার প্রতিবাদে বলছে, প্রকাশিত সংবাদে আরো বলা হয়, দিনকয়েক আগে দুজন বাংলাদেশি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় চলে এলে বিএসএফ তাদের আটক করে এবং ফলে তার মুক্তিপণস্বরূপ রানীনগর সীমান্তের গ্রাম থেকে দুজন গ্রামবাসীকে তুল নিয়েছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতকারীরা। কিন্তু বাস্তবে আসল ঘটনা সম্পূর্ণ উল্টো এবং প্রকাশিত সংবাদটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ২ জুলাই জলঙ্গি সীমান্তে দুটি ঘটনা ঘটে, যা পত্রিকার মূল বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। ওইদিন নয়ন শেখ এবং শহিদুল শেখ নামে দুজন জলঙ্গি নিবাসী ভারতীয় চোরাকারবারি অবৈধভাবে জলঙ্গি সীমান্ত দিয়ে আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইউসুফপুর গ্রামে চলে আসে। মাদক ব্যবসা এবং অর্থ লেনদেনকে কেন্দ্র করে তারা স্থানীয় লোকজনের ওপর চড়াও হয়। স্থানীয়রা ব্যাপারটিকে সহজভাবে না নিয়ে তাদের ঘেরাও করে। পরবর্তীতে ইউসুফপুর বিজিবি ক্যাম্প খবর পেয়ে ওই দুই ভারতীকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। অপরপক্ষে একই দিন ১২টায় বিএসএফ টহল দল অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করে ৩০০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ইউসুফপুর এলাকা থেকে তিনজন নিরীহ ও নিরপরাধ কৃষককে ধরে নিয়ে যায়, যারা চর এলাকায় শুধু চাষাবাদ করে বাড়ি ফিরছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close