সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

  ১০ জুলাই, ২০২০

গরু মোটা করেও লাভ দেখছেন না খামারিরা

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো দেশীয় পদ্ধতিতে সাভারে চলছে গরু মোটা করা। তবে করোনার প্রভাবে গো-খাদ্যসহ অন্য উপকরণের দাম বাড়ায় বাড়তি লাভের আশা করছেন না খামারিরা। সাভার ও আশুলিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় প্রাকৃতিক উপায়ে খড়, ঘাসসহ ভিটামিন খাইয়ে ষাঁড় মোটা করছেন গরুর খামারিরা। সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর সাভার ও আশুলিয়ায় গরু মোটাতাজাকরণ খামার রয়েছে ৭৫৪টি। এর মধ্যে ২১৭২টি ষাঁড়, আটটি বলদ ও ১২৭টি গাভী পালন করছেন খামারিরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকার ইসমাইল ডেইরি ফ্রার্মের মালিক নরুল আমীন জানান, এবার কোরবানির ঈদে ১৩টি ষাঁড় বিক্রির জন্য দীর্ঘদিন ধরে লালন-পালন করছেন। কিন্তু করোনার কারণে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে হতাশায় ভুগছেন তিনি। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় আরো অনেক বেশি গরু খামারে তোলা হয়েছে কিন্তু সামনে কী হবে কে জানে। এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে অনেক কষ্ট করে গরুগুলো পালতে হচ্ছে। গরুগুলো সঠিক দামে বিক্রি করতে না পারলে আমার অনেক লোকসান হয়ে যাবে।

সাভার পৌর এলাকার রাজাশন রোডের হাজী আবদুল মান্নান ৫০টি ষাঁড় কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য মোটা করছেন। বর্তমান বাজারে গরুর দাম অনেক কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, গুড়া, ভুসি, নালি, খৈল এসব পণ্যের দাম অনেক বেশি। কিন্তু গরুর দাম অনেক কম। সেক্ষেত্রে এবার গরু বিক্রি করে লাভ হবে না। আমাদের দাবি লোকসানের হাত থেতে বাঁচতে হলে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান ও সরকারি সহয়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা গরু দেখাশোনা করি শুধু কোরবানির ঈদে বিক্রি করব বলে। কিন্তু এবার করোনার কারণে গরুর দাম ঠিক মতো পাব কি-না সেটা নিয়ে সংশয়ে আছি। এ বছর যদি বর্ডার পার করে চোরাই পথে গরু না আসে তাহলে হয়তো বা সঠিক দামে গরু বিক্রি করতে পারব। সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী ম-ল বলেন, খামারিদের মাঠের কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ আমরা প্রায় শেষ করে ফেলেছি। আমরা আশা করছি সামনে ঈদুল আজহাতে আমাদের গরুগুলোর কোনো সমস্যা হবে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close