দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি

  ১০ জুলাই, ২০২০

রাজার দাম ১৫ লাখ!

ঢাকার দোহার উপজেলার চর লটাখোলা এলাকার সিদ্দিকীয়া দাওয়াখানার স্বত্বাধিকারী হাকীম মো. আবদুস ছালাম আড়াই বছর আগে শখের বসে আমেরিকান ব্রাহমা জাতের একটি বাছুর গরু কিনে লালন পালন শুরু করেন। লাল রঙের গরুটির এখন উচ্চতা ৬ ফুট। দেখতে আকর্ষণীয়, ওজন ৯০০ কেজি। গরুটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে লোকজন। আবদুস ছালাম আদর করে গরুটি নাম রেখেছেন ‘রাজা’। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজার দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।

জানা যায়, প্রায় ৩১ মাস আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে আমেরিকান ব্রাহমা জাতের গরুটি কিনেছিলেন আবদুস ছালাম। পরম আদর যতেœই বড় করছেন ষাঁড়টিকে। রাজাকে রাজা মতো বড় করতে পরিশ্রম করছে পরিবারটি। রাজার জন্য বানানো হয়েছে আলাদা শেডের ব্যবস্থা। রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টা ইলেকট্রিক ফ্যানের ব্যবস্থা। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রয়েছে সয়াবিনের খৈল, গম, ভুট্টা, ছোলা, পায়রা, সবুজ ঘাস ও ফল। ঈদকে সামনে রেখে রাজাকে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে প্রতিদিন পরম যতেœ লালন পালন করা হচ্ছে।

উচ্চবিত্তদের কাছে কোরবানির পশু পছন্দের তালিকায় প্রথমে রয়েছে এই জাতের গরু। যাকে প্রাকৃতি পদ্ধতিতে যার বেড়ে ওঠা। ‘রাজা’ই আকার আকৃতি রং ও ওজনের দিক থেকে উপজেলার শ্রেষ্ঠ বলে দাবি মালিকের। ব্রাহমা গরু রোগ প্রতিরোধী। বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই। এ জাতের গরু সাধারণত ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ কেজি মাংস উৎপাদনে সক্ষম। মাংসে চর্বির পরিমাণও কম। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ জাতের গরু ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ও স্বাভাবিক আচরণ ও খাদ্য গ্রহণ করে থাকে।

এ বিষয়ে আবদুস ছালাম বলেন, অনেক যতœ করে আমি ‘রাজা’কে আড়াই বছর ধরে লালন পালন করে আসছি। আমার ইচ্ছা রাজাকে বাড়ি থেকেই বিক্রি করব। করোনার মহামারিকালে কোরবানির হাটে নিয়ে ‘রাজা’কে বিক্রির ইচ্ছা নেই। তিনি আরো জানান, রাজাকে লালন পালন করার ক্ষেত্রে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে। ইতোমধ্যে দোহার-নবাবগঞ্জ ও আশপাশের উপজেলার অনেক ক্রেতাই আসছেন। ব্যাটেবলে মিললেই বিক্রি হয়ে যাবে আবদুস ছালামের প্রিয় ‘রাজা’।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close