সংসদ প্রতিবেদক

  ০৯ জুলাই, ২০২০

মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণে আরো দুটি কপ্টার কেনা হচ্ছে

সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশের সীমান্ত পথে সব ধরনের মাদক অনুপ্রবেশ বন্ধে বিজিবির দুটি হেলিকপ্টার এরই মধ্যে ফ্লাইং পরিচালনা শুরু হয়েছে যা বিজিবির অপারেশন ও লজিস্টিক সাপোর্টের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। অচিরেই বিজিবির জন্য আরো দুটি হেলিকপ্টার কেনা হবে।

গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর (ভোলা-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের সব সীমান্ত পথে সব ধরনের মাদক অনুপ্রবেশ বন্ধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিজিবির নিয়মিত প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়াও সম্প্রতি নতুন পাঁচটি বিওপি নির্মাণ করা হয়েছে। টেকনাফসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ৩১৭ কিলোমিটার বর্ডার রোডে তৈরি করা হচ্ছে এবং স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্টের আওতায় সীমান্তে সার্ভিল্যান্স সিস্টেম স্থাপনের কার্যক্রম চলমান আছে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে দেশের সব সীমান্ত পথে সব ধরনের মাদক অনুপ্রবেশ বন্ধে ভিশন ২০৪১ এর আওতায় বিজিবির ১৬৮ টি নতুন বিওপি নির্মাণ, সব সীমান্তে বর্ডার সার্ভিল্যান্স সিস্টেম এবং সীমান্ত সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। যে সব সীমান্তে নদীপথ রয়েছে সেখানে বিশেষ করে টেকনাফ এবং সুন্দরবন অঞ্চলে বিজিবির জন্য চারটি অত্যাধুনিক হাইস্পিড ইঞ্জিন বোট ক্রয় করা হয়েছে এবং উপকূলীয়, চরাঞ্চল, দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের বিওপিগুলোর জন্য ১৫২টি এটিভি (অল টেনিয়ন ভেহিক্যাল) ক্রয় করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো সব সরঞ্জামাদি কেনা হবে। বিজিবির দুটি হেলিকপ্টার এরই মধ্যে ফ্লাইং পরিচালনা শুরু হয়েছে যা বিজিবির অপারেশন ও লজিস্টিক সাপোর্টের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। অচিরেই বিজিবির জন্য আরো দুটি হেলিকপ্টার ক্রয় করা হবে। এছাড়া স্থলবন্দর এবং ইমিগ্রেশন চেক পয়েন্ট মাদক দ্রব্যের অনুপ্রবেশ রোধকল্পে বিজিবির দুটি ভেহিক্যাল এক্সরে স্ক্যানার এবং দুটি ব্যাগেজ স্ক্যানার স্থাপন করা হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে সব স্থলবন্দর এবং ইমিগ্রেশন চেক পয়েন্টে স্থাপন করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close