প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ৩০ মে, ২০২০

কুকুর চিহ্নিত করবে করোনা রোগী

ফিনল্যান্ডে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিলে এই প্রাণিটি গন্ধ শুঁকে করোনা রোগী চিহ্নিত করতে পারে। করোনা সংক্রমণের একটা নির্দিষ্ট গন্ধ আছে, যা কুকুর ধরে ফেলতে পারে। সমীক্ষাটা করেছেন হেলসিংকি বিশ্বিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এই গবেষকরা বলেছেন কুকুরকে বিশেষভাবে শেখালে তারা গন্ধ শুঁকে করোনা রোগী চিহ্নিত করতে পারে। কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত রোগীর শরীরে একটি গন্ধ পাওয়া যায়। কুকুরকে শেখালে তারা সেই গন্ধ নিখুঁতভাবে ধরে ফেলতে পারে। প্রশিক্ষণে কয়েক সপ্তাহ লাগে তাদের গন্ধটা ধরতে। তারপর কোনটা করোনা রোগীর মূত্র, কোনটা নয়, তা সেই প্রশিক্ষিত কুকুর নির্ভুলভাবে চিহ্নিত করতে পারে।

ডগরিস্ক গ্রুপের প্রধান আনা হেলম বিওরিকম্যান বলেছেন, প্রতিটি রোগের একটা গন্ধ থাকে। কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিলে সেই গন্ধ তারা বুঝতে পারে। আমাদের সেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। কুকুর কীভাবে দ্রুত সেই নতুন গন্ধ শুঁকতে পারছে, সেটা দেখাও দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কুকুর করোনার গন্ধ বুঝে নিতে পারে। তারপর করোনা আক্রান্তের মূত্রের গন্ধ শুঁকে সে বলে দেবে যে করোনা হয়েছে। ল্যাবে পরীক্ষা যতটা নির্ভরযোগ্য, কুকুরের করোনা ধরাও ততটাই নির্ভরযোগ্য। ফিনল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা এখন আরো পরীক্ষা করবেন। গবেষণার ভাষায় যার নাম ডবল ব্লাইন্ড স্টাডি।

এতে কুকুর অনেক বেশি সংখ্যায় রোগীদের মূত্রের গন্ধ শুঁকবে এবং বলে দেবে কোনটা করোনা রোগীর, কোনটা নয়। সেটা সফল হলে তারপর কুকুরদের করোনা ধরার কাজে ব্যবহার করা হবে।

তবে শুধু ফিনল্যান্ড নয়, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিতেও এ নিয়ে পরীক্ষা হচ্ছে। ফিনল্যান্ডের গবেষক দলের ফলাফল তাদেরও সাহায্য করবে। কিন্তু জার্মান অ্যাসিসটেন্স ডগ সেন্টারের লুকা বারেট বলেছেন, এখনো একটা কথা কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি যে, এই ভাইরাস নিয়ে প্রশিক্ষণ করানোটা কতটা বিপজ্জনক। জার্মান ভাইরাসবিদরা এই ধরনের পরীক্ষার বিরুদ্ধে। কারণ এই ভাইরাস নিয়ে আমরা বিশেষ কিছু জানি না।

করোনা রোগীর মূত্রে কী করে এই গন্ধটা আসে, তা এখনো খুব স্পষ্ট নয়। করোনার ভাইরাস ফুসফুসকে আক্রমণ করে, রক্তনালি, কিডনি ও অন্য অঙ্গের ক্ষতি করে। এটাও মনে করা হচ্ছে, রোগীর মূত্রের গন্ধ বদল হয়। কুকুরের ঘ্রাণশক্তি খুবই শক্তিশালী বলে তারা সেই বদল ধরে নিতে পারে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close