রাজস্ব খাতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের দ্রুত স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদ (বিএমটিপি)। সম্প্রতি রাজধানীর মহাখালিতে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি জানান।

বিএমটিপির নেতারা মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ প্রদানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। নেতারা বলেন, সরকারি পর্যায়ে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের স্বল্পতার কারণে করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষায় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিগত ১২ বছর ধরে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ বন্ধ থাকার কারণে এ রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই কম সংখ্যক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দিয়ে করোনা মোকাবিলা সম্ভব নয়।

গত ২৮ এপ্রিল বিএমটিপি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিচালক (প্রশাসন) সহ স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে করোনা মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডাক্তার-নার্সদের নিয়োগের সঙ্গে শূন্যপদ ও নতুন পদ সৃষ্টি করে ২০১৩ সালের আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে ১৮ হাজার সব বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের দাবি জানান। অথচ স্বাস্থ্য অধিদফতর সেই ২৮ এপ্রিল ৩৮৬ জনের আউটসোর্সিং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সামনে পরের দিন ২৯ এপ্রিল বিএমটিপিসহ সব সাধারণ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন এবং ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। তারপরও স্বাস্থ্য অধিদফতরের টনক নড়েনি।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংকটময় এই পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাত করোনাভাইরাস নির্ণয়ের কাজ করছেন ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা। দেশে শূন্য পদ আছে প্রায় ২ হাজার ৭০০। অথচ দেশে বেকার মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। এ রকম প্রশিক্ষিত মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের করোনা মহামারির মতো পরিস্থিতিতে কাজে না লাগিয়ে বেকার বসিয়ে রাখাটা কি ঠিক হচ্ছে? তাই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়/অধিদফতর আউটসোর্সিং/চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে রাজস্ব খাতে ২০১৩ সালের আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে স্থায়ীভাবে অতিদ্রুত সব বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিচালকে (প্রশাসন) আহ্বান জানান।

"