ত্রাণ বিতরণের নামে কোনো রকম অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল শনিবার নিজের সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্পষ্টভাবে একটা কথা বলতে চাই, ত্রাণ বিতরণে কোনো রকম অনিয়ম সহ্য করা হবে না। খেটে খাওয়া মানুষের ত্রাণ নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলবে তারা যেই হোক তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা নামক এ অদৃশ্য শক্তিকে পরাজিত করতে আমাদের সবাইকে আজ দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সব মতপার্থক্য ভুলে সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক পেশাজীবী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সবাইকে ধৈর্য ও সাহসিকতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, এই লড়াইয়ে জিততে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১ দফা নির্দেশনা এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এই দুর্যোগে খেটে খাওয়া কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের সামর্থ্যবান ও বিত্তবান মানুষের প্রতি আহ্বান জানান এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের চলমান সহায়তা প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, একটি কুচক্রী মহল এই দুর্যোগকালেও নানা গুজব ছড়াচ্ছে। এসব গুজবের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন থাকার এবং গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলারও আহ্বান জানাচ্ছি।

করোনা সংকটে নিবেদিত চিকিৎসক-নার্স, হাসপাতাল কর্মী, চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অতীতের মতো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মনে রাখতে হবে- ঘরে ঘরে অবস্থান এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে যারা পারবেন না, তারা নিজেরাই নিজেদের জন্য বিপদ ডেকে আনবেন।

এ সময় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী জানান, সরকার সাধারণ ছুটি আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করায় দেশব্যাপী চলমান গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। পণ্যবাহী পরিবহন খাদ্যদ্রব্য জরুরি সেবা, পচনশীল দ্রব্য পরিবাহী, ওষুধ শিল্প, ত্রাণবাহী গাড়ি, গণমাধ্যম, কৃষি মৎস্যজাত পণ্য, দুগ্ধজাত পণ্য পরিবহনে এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।

"