প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৮ এপ্রিল, ২০২০

ঘরে বন্দি থেকেও হাসি-খুশি...

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বেশির ভাগ মানুষ এখন ঘরবন্দি সময় কাটাচ্ছেন। যারা প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মতো সময় বাইরে কাটান, তাদের ঘরে বন্দি থাকাটা সত্যি কষ্টদায়ক। আর আমরা যখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকি, তখন কোনো কিছুতেই আনন্দ খুঁজে পাই না। একটুতে চোখ ভিজে আসে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়; নৈরাশ্যও ভর করে। বিষণœতায় মন খারাপের মাত্রা অনেক তীব্র ও স্থায়িত্বও তুলনামূলক বেশি।

তাই বিপর্যয়ের এই দিনগুলোতে অল্পমাত্রায় উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, মন খারাপ কিংবা বিষণœতা অস্বাভাবিক নয়। তবে করোনা থেকে নিজে ও পরিবারের সঙ্গে কাটানো এই সময়টাকেও আপনি উপভোগ করতে পারেন। এই সময়টি হতে পারে আপনার পরিবারের সঙ্গে কাটানো সুন্দর একটি সময়। ঘরে বন্দি থেকেও কীভাবে সুন্দর সময় কাটাবেন।

১. শুধু আমিই নই, অনেকেই এই পরিস্থিতির শিকার। এটি মেনে নিতে পারলে মনের অস্থিরতা কমে যাবে। ২. শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। সোজা হয়ে চেয়ার-টুল-মোড়ার ওপরে কিংবা মেঝেতে বসে খুব ধীরগতিতে দীর্ঘশ্বাস নেওয়া, আর ধরে না-রেখে খুব ধীরে প্রশ্বাস ছাড়া। অস্থিরতা বা টেনশন অনুভব করলে কিছুক্ষণ দুই চোখ বন্ধ করতে পারলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কিছুটা কমবে। ৩. ফোন বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রিয়জন বা বন্ধুর কাছে মনের কথা বলতে পারেন। তাতে জমে থাকা অনুভূতির তীব্রতা কিছুটা কমে ভার কিছুটা হলেও হালকা হয়। ৪. টিভি বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সামনে দীর্ঘক্ষণ বসে করোনা সংক্রমণ নিয়ে খবর শুনতে বা দেখতে থাকলে মন খারাপ হতে পারে। বাড়তে পারে দুশ্চিন্তা-উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা-ভয় ও আশঙ্কার মাত্রা। করোনাসংক্রান্ত খবর সম্পর্কে সচেতন থাকতে দিনে দুই থেকে তিন বার টিভি দেখলেই হয়। ৫. করোনাসংশ্লিষ্ট খবরের তথ্যসূত্র, তার বিশ্বাস যোগ্যতা যুক্তিবোধ দিয়ে যাচাই করে নেওয়া দরকার। তাতে অযথা উদ্বেগ কমে।

৬. করোনা হলেই মৃত্যু এ কথা কখনো ভাববেন না। এই রোগে আক্রান্তদের সেরে যাওয়ার হার অনেক অনেক বেশি। ৭. ঘরে থাকার একঘেয়েমি কাটাতে বই পড়–ন। খুঁজে নেওয়া যায় নিজের মধ্যকার সুপ্ত সৃজনশীল সত্তাকেও। ৮. হাতে তুলে নিতে পারি রঙের তুলি। অখন্ড অবসরে অনেক দিন কথা না-হওয়া বন্ধুকে ফোন করতে পারেন। খোঁজ নিতে পারেন দূরে থাকা সেই স্বজনদের, বহুদিন যার খোঁজ নেই।

১০. ঘরে একসঙ্গে সারা দিন থাকার ফলে বিভিন্ন কারণে পরিবারের কাছের মানুষের মধ্যে মতান্তর ঘটতে পারে। সে জন্য পারস্পরিক দোষারোপ নয়, অন্যের অনুভূতি, সমস্যা, পরিস্থিতিকে তার জায়গা থেকে একটু বোঝার চেষ্টা করতে হবে। তা হলেই ঘরবন্দি থাকা শত প্রতিকূলতার মধ্যেও মধুর হয়ে উঠতে পারে। ১১. মানসিক সমস্যা খুব বেশি হলে মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সিলর, মনোবিদ বা মনোচিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ হচ্ছে, জরুরি কারণ ছাড়া বাইরে না যাওয়া, সুষম পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার খাওয়া, অল্প অল্প করে বার বার পানি খাওয়া, ঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া, একটু ব্যায়াম করা ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close