আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৭ এপ্রিল, ২০২০

স্বাস্থ্যকর্মীর ভূমিকায় বিমানবালারা!

মহামারি করোনাভাইরাসের থাবায় বিপর্যস্ত বিশ্ব। ভার্চুয়াল জগৎকে বাদ দিলে প্রায় সব দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। সড়ক, রেল ও নৌপথের পাশাপাশি আকাশপথও অবরুদ্ধ। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া উড়ছে না কোনো বিমান। বিরূপ পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে সুইডেন।

স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের এই দেশটি তাদের হাসপাতালগুলোতে কাজে লাগাচ্ছে বিমানের কেবিন ক্রুদের। করোনার কবলে পড়ার পর থেকেই স্বাস্থ্যকর্মী সংকটে ভুগছিল সুইডেন। সাময়িকভাবে চাকরি হারানো বিমানবালাদের তাই করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবায় ব্যবহার করছে দেশটি।

করোনার প্রভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাকরি হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। মার্চের মাঝামাঝি প্রায় ১০ হাজার কর্মীকে সাময়িক ছাঁটাই করেছে সুইডেনের পতাকাবাহী স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এয়ারলাইনস, যা সংস্থাটির মোট কর্মচারীর ৯০ শতাংশ। তবে চাকরি হারিয়ে সুইডেনের হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমগুলোতে সেবা দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছেন তারা। প্রথম ভাগে ৩০ জন কেবিন ক্রু এই নার্সিং প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে এক কেবিন ক্রুর ভাষ্য, প্রশিক্ষণের আমন্ত্রণ জানিয়ে আমাকে যখনই ই-মেইল করা হলো, আমি সঙ্গে সঙ্গে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়ে দিলাম। কেননা আমি মনে করি, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সমাজ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে অবদান রাখার এটা বড় একটা সুযোগ।

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এয়ারলাইনসের এক বিমানবালা বলেন, মানুষের সেবা-যতœ করতে আমরা আসলেই পরদর্শী। আমরা সব সময় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি থাকি। আমার মনে হয় হাসপাতালগুলোতে এখন যে অবস্থা, তাতে আমরা বেশ ভালোভাবে সহায়তা করতে পারব।

এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্কিল শিফট ইনিশিয়েটিভ’। এর সহায়তা দিচ্ছে তিনটি প্রতিষ্ঠান। উদ্যোক্তাদের আশা, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও সুইডেনের কর্মসূচিটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। উদ্যোক্তাদের অগ্রদূত ওয়ানলেনবার্গ ফাউন্ডেশনের পরিচালক অস্কার স্টিজ আঙ্গার জানালেন সে কথাই, আমাদের অনেক কর্মীকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করতে হয়েছিল। তবে আমরা জানতাম, আমাদের অনেক দক্ষ কেবিন ক্রু রয়েছেন, যারা স্বাস্থ্যসেবায় সহায়তা করতে পারেন। পরিকল্পনাটা এভাবেই এসেছিল।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের মেয়র আনা কোনিগ জার্লমারের বিশ্বাস, এই নতুন কর্মীরা স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘাটতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিতে সক্ষম হবেন, বিমানবালারা বয়স্কদের চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং শিক্ষার্থীরা তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসছেন। এভাবে আমরা আমাদের সামর্থ্যরে সর্বোচ্চটুকু ব্যবহার করতে পারি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close