আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৪ এপ্রিল, ২০২০

বাড়ির পুরোনো জিনিসে সংক্রমণের আশঙ্কা

সংক্রমণ এড়াতে লকডাউনের সময় বাড়ি ও নিজেদের পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে আমরা আগের চেয়ে বেশি সতর্ক হয়েছি। কিন্তু বাড়ির যে সব পুরোনো ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র আর আমরা ব্যবহার করি না, সেগুলোকে নিয়মিতভাবে পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে কী আমরা নজর দিচ্ছি ততটা? বাড়ির যে ঘরে আমরা পুরোনো খাতা, বই, ইস্ত্রি, টেলিভিশন সেট, পুরোনো ক্যাসেট, সিডি, রেকর্ড প্লেয়ার, ডিভিডি প্লেয়ারসহ বিভিন্ন ধাতব জিনিসপত্র পুরে দিনের পর দিন সেই ঘরটাকে তালাবন্দি করে রাখি, সেই ঘর আর তার ভেতরের জিনিসপত্রের দিকে কি আমরা তাকিয়ে দেখছি?

চিকিৎসকেরা বলছেন, বাড়ির যাবতীয় পুরোনো জিনিসপত্রই এখন পারলে বর্জন করা উচিত। সেটা না সম্ভব হলে, নিয়মিতভাবে সেই সব পুরোনো জিনিসপত্র আর সেগুলো যে ঘরে দীর্ঘদিন তালাবন্দি করে রাখা আছে, এখন সেই সবই খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত। না হলে, অনেক দিনের অব্যবহৃত ওই জিনিসগুলির ওপর যে প্রচুর পরিমাণে ধুলাবালি জমেছে, তার থেকেও সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়তে পারে বাড়ির লোকজনের।

চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, বাড়ির পুরোনো বই, খাতায় ছত্রাক জন্মায়। যাদের অনেকগুলোই বাড়ির লোকজনের সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারেবলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

কোভিড-১৯ এর জন্য এখন যে পরিস্থিতি, তাতে যেকোনো সংক্রমণই বিপজ্জনক। কারণ তা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়। তাই এখন এমন সব জিনিস পারলে বর্জন করাই ভালো। না পারলে বহু দিনের অব্যবহৃত জিনিসপত্রগুলো আবার খুব ভালোভাবে ঝাড়া-পোছা করে রাখা দরকার, বলছেন অরিন্দম। মোদ্দা কথা, এখন সংক্রমণ এড়ানোর জন্য বাড়িতে কোনোভাবেই ধুলাবালি জমতে দেওয়া উচিত হবে না। পুরোনো অব্যবহৃত জিনিসপত্রে ধুলাবালি জমে বেশি। তাই সেগুলোকে পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে আরো বেশি সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন, জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close