নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

দাম কমল পেঁয়াজ-রসুনের স্বস্তি ফিরছে বাজারে

ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের আদেশ তুলে নেওয়ায় এবং দেশে রসুনের সরবরাহ বাড়ায় এ দুটি নিত্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা এবং রসুনের দাম ৭০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এসব পণ্যের দাম কমতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের বাজারে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়াসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ১০০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের দাম কমে ৮০-৯০ টাকা হয়েছে। আর আমদানি করা ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১০-১২০ টাকা। আর আমদানি করা চীনা রসুনের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৭০-১৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০০-২১০ টাকা। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা রসুনের দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হয়েছে ৮০-৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি রসুনের দাম কেজিতে কমেছে ৭০ টাকা।

পেঁয়াজ-রসুনের এই দাম কমার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী জাহিদ বলেন, ভারত রফতানি বন্ধ করায় আমাদের এখানে হু হু করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এখন ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের আদেশ তুলে নিয়েছে। এ কারণে দাম কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজের। আর দেশি রসুনের সরবরাহ বাড়ায় এর দাম কমেছে। এ ব্যবসায়ী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে চীনা রসুনের দাম ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ২০০ টাকা হয়ে যায়। সেসময় দেশি রসুনের সরবরাহ কম ছিল। এখন বাজারে প্রচুর নতুন দেশি রসুন আসছে। এ কারণে সব ধরনের রসুনের দাম কমেছে। কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, লাউ, করলা, টমেটো, শসা, শিম, শালগম, মুলা, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুনের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করলার দাম কমে ১০০-১১০ টাকা হয়েছে। মাঝারি আকারের লাউ বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা পিস, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-১০০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হয়েছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা।

গত সপ্তাহে ৩০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসার দাম কমে ২০-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। পেঁপে গত সপ্তাহের মতো ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। দেশি পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৬০ টাকা। ভালো মানের শিমের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা। ফুলকপি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫-৪০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। দাম কমার এ তালিকায় রয়েছে বেগুন, মুলা, কাঁচামরিচও। গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মুলার দাম কমে ২০-২৫ টাকা হয়েছে। ৬০-৭০ টাকার বেগুন কমে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। কাঁচামরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হয়েছে ১৫-২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০-৩০।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ২২০-৫০০ টাকা। তেলাপিয়া ১৩০-১৭০ টাকা, শিং ৩০০-৪৫০, শোল ৪০০-৭৫০, পাবদা ৪০০-৫০০, টেংরা ৪৫০-৬০০, নলা ১৮০-২০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। আর ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১২৫-১৩০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ২৩০-২৪০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০-২২০ টাকা কেজি। গরুর মাংস ৫৫০-৫৭০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭০০-৮৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। মাছ ও মাংসের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close