নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

অনিয়ম ঠেকাতে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি অনলাইনে

চলমান প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি নিয়ে তদবির বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মন্ত্রণালয়ও এসবের প্রমাণ পেয়েছে। এ অবস্থা ঠেকাতে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে অনলাইনে বদলি আবেদন শুরু করছে মন্ত্রণালয়। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ এই তিন মাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির সময়। তাই এই সময় প্রত্যাশিত জায়গায় বদলির জন্য শুরু হয় দেন-দরবার। সক্রিয় হয়ে ওঠে কয়েকটি চক্র। এর ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ আসছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে টাকার বিনিময়ে বেশ কয়েকজনকে বদলি করা হয়েছে। এর সত্যতাও পেয়েছে মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন বলেন, এখন তদবির ছাড়া বদলি নেওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা চলছে। এজন্য এপ্রিল মাস থেকে অনলাইনে নেওয়া হবে আবেদন। এছাড়া তিন মাসের গন্ডি থেকে বের করে সারা বছরই বদলির প্রক্রিয়া চালুর রাখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। পদ্ধতিটি চালু হলে শিক্ষকদের আর স্থানীয় শিক্ষা অফিস, অধিদফতর বা মন্ত্রণালয়ের দৌড়াতে হবে না।

মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম জানুয়ারিতে শুরু হয়ে চলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এ সময় শিক্ষা অধিদফতরের এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে দালালরা শিক্ষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে অধিদফতরের দুই-একজন কর্মকর্তা এবং নিচের স্তরের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে মন্ত্রীসহ প্রভাবশালীদের সুপারিশ আমলে নিয়ে বদলি করারও হিড়িক চলে এই সময়। অভিযোগ রয়েছে, তদবির আর ঘুষের কারণে শূন্যপদের অনুমোদন নিয়েও দিনের পর দিন অপেক্ষা করা শিক্ষকরা বদলি হতে পারেন না। কিন্তু যাদের শূন্যপদের অনুমোদন থাকে না তারাও বদলি আদেশ পান সহজে। এই অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগে থেকেই অনলাইনে শিক্ষক বদলির উদ্যোগ নেয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close