নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

বই সংকটে মিলছে না জরুরি পাসপোর্ট

ই-পাসপোর্ট চালু করলে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) চাহিদা কমবেÑ এমন ধারণা থেকে চলতি বছর এমআরপি বইয়ের মজুদ কম রেখেছিল ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। তবে ঢাকার বাইরে বিভাগীয় অফিসগুলোতে শুরুই করা যায়নি ই-পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া। ফলে বিভাগীয় অফিসগুলোতে জমা পড়া আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পাসপোর্ট ছাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

অধিদফতরে এমআরপি সংকটের কারণে জরুরি ফি দিয়ে আবেদনের পরও নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট মিলছে না রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসেও। পাসপোর্ট ছাড়ের নিয়ম ১১ কার্যদিবসের মধ্যে হলেও অপেক্ষা করতে হচ্ছে চার থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত। ফলে চিকিৎসার উদ্দেশে দেশের বাইরে যেতে যারা আবেদন করছেন, তারা বিপাকে পড়েছেন। সংকটের সুযোগে অফিস ঘিরে দৌরাত্ম্য বাড়ছে দালালদের। দ্রুত পাসপোর্ট পাওয়ার আশায় দালালদের খপ্পরে পড়ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী জরুরি ফি দিলে ১১ দিন এবং সাধারণ ফি দিলে ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট ছাড় করার কথা। কিন্তু এখন জরুরি বা সাধারণ ফির কোনো পার্থক্যই নেই। নির্ধারিত সময়ের পর নিয়মিত পাসপোর্ট অফিসে সকাল-দুপুর ধর্ণা দিতে হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, সংকটের মূল কারণ ঢাকা থেকে দ্রুত পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়ে না আসা। ই-পাসপোর্ট চালু ও এমআরপির মধ্যবর্তী সময় হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত তা কেটে যাবে। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসগুলোর আরো সক্ষমতা বৃদ্ধি করে শক্তিশালী করা উচিত। তাহলে সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটতে পারে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close