নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

দেশ-জাতি গঠনে সাংবাদিকতা মহৎ পেশা

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতি ও দেশ গঠনে সাংবাদিকতা একটি মহৎ কাজ বা পেশা। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও পল্লী উন্নয়ন, সমবায় মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা, শেখ হাসিনার দশ উদ্যোগ এবং উন্নয়ন সাংবাদিকতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকতা পেশায় যারা নিয়োজিত তাদের দ্বারা আমরা লাভ বা ক্ষতি দুটোরই সম্মুখীন হতে পারি। বলতে গেলে কল্যাণ বা অকল্যাণ দুটোই হতে পারে। তবে আমরা তাদের কাছ থেকে দায়িত্বপূর্ণ আচরণ আশা করি।

তিনি বলেন, একটি ইতিবাচক সংবাদ যেমন রাষ্ট্রের উপকার হতে পারে, আবার রাষ্ট্রীয় কল্যাণে বা রাষ্ট্রের সাধারণ সম্প্রীতি বজায় রাখার স্বার্থে সব নেতিবাচক সংবাদকে পরিহার করা হচ্ছে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা। আমরা আজকে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি তা হচ্ছে উন্নয়ন সাংবাদিকতা। সেটা রাষ্ট্র গঠনে, জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। বর্তমান সময়ে দেশের মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো উন্নয়ন সাংবাদিকতার ওপর বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। আমি মনে করি সেই সংখ্যাটা আরো বেশি হতে হবে। একটি সংস্থা, গোষ্ঠী বা কোনো ব্যক্তির সাফল্য তুলে ধরলে অন্য আরেকজন সেটা দেখে অনুপ্রাণিত হতে পারেন। এ ধরনের সাংবাদিকতা জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

মন্ত্রী বলেন, মানুষ পৃথিবীতে ভালো জীবন, সুন্দর জীবন অতিবাহিত করবে এমন ইচ্ছা যেমন স্রষ্টার আছে, মানুষ হিসেবে আমাদেরও সেই প্রচেষ্টা আছে। সেটা ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগতভাবে হোক প্রত্যেকেই জ্ঞান অর্জন করার তাগাদা অনুভব করতে থাকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমেই মানুষ নিজের করণীয়ও ঠিক করে নিতে পারছে। এভাবে দিনের পর দিন জ্ঞান অর্জনের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে। সেই জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তাও মানুষ একটা সময়ে অনুভব করে। মানুষের অর্জিত জ্ঞানকে সবার সঙ্গে বিনিময় করতে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমের আবিষ্কার হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি মানুষের মাঝে সেই জ্ঞান বা বার্তা ছড়িয়ে দিতে সাংবাদিকতা হচ্ছে একটি উত্তম পন্থা বা মহৎ পেশা।

মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আরো বলেন, পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া হাজার হাজার বা লাখ লাখ ঘটনার তথ্যের আদান প্রদানের ক্ষেত্রে সাংবাদিকতা একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে সমাজের দায়িত্ববান লোকদের কাছে সাধারণ জনগোষ্ঠীর কথা বলার বা তথ্য আদান প্রদান করার গুরুত্বপূর্র্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে সংবাদমাধ্যম বা সাংবাদিকতা। যারাই পৃথিবীতে নতুন কোনো বার্তা বা সমাজ সস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে তারাই সংবাদপত্রের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করেছে। উদাহরণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, সমাজতাত্ত্বিক কাল মার্কস নিজের মতবাদ প্রচারের জন্য তিনি নিজেই একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, সরকারের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে দেড় কোটি মানুষ উপকার পেয়েছে। প্রথমে আমরা এটিকে তেমনভাবে দেখিনি কিন্তু সম্মিলিত হিসাব করে দেখা যায়, এটি সামাজিক আর্থিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত ১০ উদ্যোগ শতভাগ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্বে মাথাউঁচু করে দাঁড়াতে পারবে। এজন্য আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে সাংবাদিকদের আরো গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে।

বাসস অয়োজিত সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির এমডি ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। এতে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমান। পল্লী উন্নয়নের পক্ষে বক্তব্য দেন আজমল হোসেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close