প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

বসন্তকালের রোগ প্রতিরোধে করণীয়

প্রকৃতিতে শুরু হয়েছে ঋতুরাজ বসন্তকাল। প্রকৃতিতে সাড়া পড়ে গেছে। তরুণীরা বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে আর মাথায় গাঁদাফুলের মালা গেঁথে উদযাপন করছে বসন্ত। কিন্তু বসন্তের আগমনে, ঋতু পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতির নানা সাজের আড়ালে চাপা পড়ে থাকে না নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ। জ্বর, সর্দি-কাশি ছাড়াও এ সময় অ্যালার্জির সমস্যাও বেড়ে যায়। এ সময় অ্যালার্জি প্রতিরোধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়, যেমন-

মধু : মৌসুম পরিবর্তনের সময় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মধু বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এ সময় প্রতিদিন দুই চামচ করে মধু খেলে অ্যালার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করে।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার : অ্যাপেল সিডার ভিনেগার অ্যালার্জি প্রতিরোধে ভালো কাজ করে। সুস্থ থাকতে প্রতিদিন এক গ্লাস পানির সঙ্গে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, এক চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

ল্যাভেন্ডার তেল : ঘরের মধ্যে ল্যাভেন্ডার তেলের কয়েক ফোঁটা ছিটাতে পারেন। এ তেলের গন্ধে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।

আনারস : মৌসুমি অ্যালার্জি দূর করতে আনারস ভালো ভূমিকা রাখে। এতে থাকা ব্রোমেলেইন, ভিটামিন বি, সি এবং অন্যান্য উপাদান সব ধরনের অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।

অর্গানিক শাকসবজি : শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অর্গানিক শাকসবজি খাওয়া জরুরি। শীতের বিভিন্ন সবজি যেমন- বাঁধাকপি, বিট, গাজর মৌসুমি অ্যালার্জি দূর করতে সাহায্য করে।

এছাড়া ঠান্ডার সমস্যা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় খাবার, যেমন কমলা, আঙুর, মালটা, লেবু এগুলো খেতে হবে নিয়মিত। এক্ষেত্রে আদা খুব ভালো কাজ করে। সকালে আদা ফোটানো পানি খেতে পারেন। জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথার চিকিৎসায় তুলসিপাতা অতুলনীয়। সর্দি-কাশি হলে শিশুকেও তুলসিপাতার রস খাওয়ানো যায়। তুলসিপাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। খেতে পারেন টকদই। টকদই সর্দি-কাশি কমায়।

এছাড়া হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল শুকাতে হবে। ভেজা চুল বেঁধে রাখা যাবে না। ভিটামিন ডি ও জিংকসমৃদ্ধ খাবার সর্দি-কাশি, জ্বর, গলাব্যথা ও জ্বর জ্বর ভাব প্রতিরোধ করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close