এমপিওভুক্ত ২ হাজার ৭৩০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাচাই-বাছাই শেষ। মার্চেই প্রকাশ হবে গেজেট। আর আগামী জুলাই থেকেই দেওয়া হবে বকেয়া বেতনসহ সব সুযোগ-সুবিধা। এ তথ্য জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি এমপিওভুক্তির গেজেটের পরই নতুন এমপিওভুক্তির জন্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আবেদন নেওয়া হবে।

প্রায় সাড়ে ৯ বছর পর গত বছরের ২৩ অক্টোবর ২ হাজার ৭৩০টি স্কুল-কলেজ-মাদরাসা এমপিওভুক্ত করে সরকার। কিন্তু ওই তালিকায় বেশ কয়েকটি অযোগ্য প্রতিষ্ঠানের নাম আসায় নানা মহলে শুরু হয় সমালোচনা। এরপরই এসব প্রতিষ্ঠান যাচাই বাছাইয়ের কাজ শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু তিন মাস পার হলেও এখনো প্রকাশ করা হয়নি গেজেট। ফলে হতাশ শিক্ষকরা। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফেডারেশনের সহ-সভাপতি কাজী নুরুল হক বলেন, প্রতিষ্ঠানের এমপিও ইনডেক্র না পারার কারণে নতুন শিক্ষকও অংশ নিতে পারছেন না। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর একটা প্রভাব পড়ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিবেদন চূড়ান্ত। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। তবে খুব বেশি প্রতিষ্ঠান বাদ যাবে না।

মাউশির মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, সব তথ্য আমাদের যাছাই-বাছাই করা হয়। একটা রিপোর্ট তৈরি করে সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছি। আমরা আশা করছি, মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

এমপিওভুক্তিতে স্বচ্ছতার সঙ্গে শিক্ষকদের স্বার্থ যাতে রক্ষা হয় সেদিকে নজর দেওয়ার আহ্বান শিক্ষাবিদদের।

শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শিক্ষার মান উন্নত করতে হলে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সুনিশ্চিত করতে হবে। তারা যাতে বেতন পান সেটা দেখতে হবে। তারা যাতে বঞ্চিত না হন সে দিকেও নজর দিতে হবে।

"