সংসদ প্রতিবেদক

  ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা বন্ধে সরকার কাজ করছে

সংসদে তথ্যমন্ত্রী

সংসদে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে চলচ্চিত্রের অশ্লীলতা বন্ধে আন্তরিক ও নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেন্সর বোর্ড ছবির সংলাপ, গালমন্দ, হত্যা ধর্ষণ ও খুনের খোলামেলা দৃশ্য চিত্রায়ন ও প্রদর্শন এবং সমাজে নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টি করতে পারে এমন দৃশ্য কর্তন-সংশোধনসহ সেন্সর নীতিমালা অনুসরণপূর্বক ছাড়পত্র প্রদান করে থাকে। এছাড়া চলচ্চিত্রের অশ্লীলতা দূরীকরণ ও ভিডিও পাইরেসি প্রতিরোধে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে সারা দেশে র‌্যাবের সহায়তায় সাদা পোশাকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হয়েছে। ফলে কোনো সিনেমা হলে আগের মতো কাটপিস প্রদর্শনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল মঙ্গলবার টেবিলে উত্থাপিত এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকালে এ অধিবেশন শুরু হয়।

শামীমা আক্তার খানমের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গুজব প্রতিরোধ ও অবহিতকরণ সম্পর্কিত ১৯ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি রয়েছে। গুজবের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জরুরিভিত্তিতে লিংকগুকের বন্ধ ও প্রত্যাহারে বিটিআরসি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এছাড়া তথ্য অধিদফতরের ১১ সদস্যবিশিষ্ট গুজব প্রতিরোধ ও অবহিতকরণ সেল রয়েছে। ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে এই পর্যন্ত গুজব সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়কে গুজব বলিয়া নিশ্চিত হয়ে ১৮টি তথ্য বিবরণী জারি করা হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয় তার অধীনস্থ দফতরগুলো গুজব প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মো. নজরুল ইসলাম বাবুর এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বার্তা সংস্থা নীতিমালা বলে প্রকৃতপক্ষে কোনো নীতিমালা নেই। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪, জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭, বেসরকারি মালিকানায় বেতার কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১০ এবং কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, সম্প্রচার ও পরিচালনা নীতিমালা রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close