কুমিল্লা প্রতিনিধি

  ২৯ জানুয়ারি, ২০২০

কুমিল্লায় বদলে গেছে কৃষির চিত্র

* আধুনিক প্রযুক্তি, সময়োপযোগী কৃষিনীতি * সবজির উৎপাদন বেড়ে দ্বিগুণ

আধুনিক প্রযুক্তি, সময়োপযোগী কৃষিনীতি আর কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে বদলে গেছে কুমিল্লার কৃষির চিত্র। দেড় যুগ ধরে কৃষি ক্ষেত্রে কুমিল্লা জেলায় সবজি চাষে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। সবজির উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকের আয়ও বেড়েছে।

কুমিল্লার চান্দিনা, বুচিড়ং, বরুড়া, দাউদকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলতি বছর ব্যাপক শীলকালীন সবজি চাষ হয়েছে। উল্লেখযোগ্য হলো ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, লাউ, শিম, বেগুন, পটোল, মুলা, আলু, টমেটো, পালংশাকসহ হরেক রকমের কাঁচা তরিতরকারি। এসব সবজি শীতল আবহাওয়ায় সবচেয়ে ভালো হয়। কৃষক এসব সবজি চাষ করে কম সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায় দিন দিন চাহিদা বেড়েই চলছে। এ সময় শীতকালীন শাকসবজির দাম বেশি হয়ে থাকে। সে কারণে কৃষক সবজি চাষে ব্যস্ত সময় কাটান। মুনাফার আশায় কৃষক এ বছরও প্রচুর পরিমাণ সবজি চাষ করছেন। অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন ও সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থার কারণে কৃষক এখন সহজেই উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারছেন। এ কারণে কৃষিকাজ এখন লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। যদিও সার, বীজসহ আনুষঙ্গিক পণ্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে মাঝে মধ্যেই কৃষক হোঁচট খায়। তবে পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা গেলে কৃষক আরো অধিক জমিতে সবজি চাষে আগ্রহী হবেন বলে জানান এলাকার কৃষক। আর তা সম্ভব হলে উপজেলার কৃষি খাত আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। বর্তমানে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার ছায়কোট, শ্রীমন্তপুর, চান্দিয়ারা, পিহর এসব এলাকার যেদিকেই দৃষ্টি দেওয়া যায়; সেদিকেই সবুজের সমারোহ। এসব গ্রামের চাষি সবজি চাষে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

সবজির মধ্যে বর্তমানে শিম, লাউ, পটোল, বেগুন অধিক লাভজনক। শিম ও বেগুন চাষে লাভ বেশি হওয়ায় অনেকেই এতে উৎসাহী হচ্ছেন। মিষ্টিকুমড়া, কচু, আলু ইত্যাদি ফসলের প্রতিও কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। কম সময়ে সবজি চাষে বেশি লাভ হয় বলে অনেকে ঝুঁকে পড়ছেন সবজি চাষে। শ্রীমন্তপুর গ্রামের কৃষক আলী মিয়া জানান, এক কানি জমিতে বেগুন চাষ করলে খরচ হয় ১৫-২০ হাজার টাকা। এ জমিতে দুই থেকে আড়াইশ মণ বেগুন হয়। এতে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ আসে। এ বছর সবজির দাম বেশি পাওয়ায় অনেক কৃষকের ভাগ্য বদলে গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সুরজিত চন্দ্র দত্ত বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের নজরদারি ও উপজেলা পর্যায়ে চাষিদের কৃষি কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ, পরামর্শসহ সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়াতে এবং আবহাওয়া সময় উপযোগী হওয়ায় এবারে লক্ষ্যমাত্রা অনেক ছাড়িয়ে যাবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close