নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৭ জানুয়ারি, ২০২০

কর্মশালায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

সমস্যা তৈরি হচ্ছে সমাধানও চলছে

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, নগরীতে মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন সমস্যা তৈরি হচ্ছে; সেই সঙ্গে এর সমাধানও চলছে। মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এমন সমস্যা তৈরি হচ্ছে, যা পাঁচ বছর আগেও ছিল না। যেমন অপরিকল্পিত উন্নয়ন, পার্ক ও মাঠের অভাব, খোলা জায়গার সংকট ও জলাশয় ভরাট অন্যতম। তবে এ সমস্যাগুলোর সমাধানের কাজ চলছে। পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলছে।

গতকাল রোববার রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে সেভ দ্য চিলড্রেন আয়োজিত দুর্যোগ মোকাবিলায় সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সচেতন নগর গঠনের উদ্দেশ্যে দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশকে অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা না করে দেশের সমস্যা সমাধানে নতুন গবেষণা, আবিষ্কার, যুগোপযোগী সমাধান এবং সঠিকভাবে সমস্যা চিহ্নিতকরণের কাজ করা দরকার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভি বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা সক্ষমতা অর্জন করতে পারিনি। আমাদের জনবলের অভাব রয়েছে। একই সঙ্গে এসব জনবলকে সঠিক প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া খোলা জায়গা দিন দিন কমে যাচ্ছে। জলাশয় ভরাট হচ্ছে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, এখন আর অ্যাওয়ারনেস তৈরির সময় নেই। এখন সময় কাজ করার। সরাসরি ইমপিচমেন্টেশনে যেতে হবে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের আরো কাজ করতে হবে।

সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্ক পিয়ের্স-এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন জার্মান রেড ক্রসের ডেহ অব অফিস গৌরব রায়। এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন দুই প্রকল্পের কনসোর্টিয়াম পার্টনার সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পগুলোর একটি ‘স্ট্রেংদেনিং আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (সার্প-২)’ যেটির কনসোর্টিয়াম পার্টনার হিসেবে কাজ করছে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেইনিং সেন্টার (পিএসটিসি) এবং কমিউনিটি পার্টিসিপেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিডি)।

নাগরিক সহনশীলতা বৃদ্ধি করে একটি নিয়মতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমন্বিত পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে নগর বিপর্যয় ও ঝুঁকির প্রভাব কমাতে কাজ করবে সার্প-২ প্রকল্প। এই পদক্ষেপটি সব প্রাসঙ্গিক অংশীদার যেমনÑ বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্বেচ্ছা সেবকদের জড়িত করে বিভিন্ন কৌশল, পাঠ ও পদক্ষেপকে প্রাতিষ্ঠানীকরণের প্রক্রিয়ায় জোর দেবে। প্রকল্পটির আরো একটি অগ্রাধিকার হলো, নাগরিক সহনশীলতা বাড়ানোর উদ্যোগ সর্বাধিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড ২৯, ৩০, ৩২ এবং ৩৪ ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড ১০, ১৪, ১৫ এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুই বছরব্যাপী এ প্রকল্প কাজ করবে। অপর প্রকল্পটি হলো, ঢাকা আর্থকুয়েক অ্যান্ড ইমার্জেন্সি প্রিপেয়ার্ডনেস-এনহ্যান্সিং রেজিলিয়েন্স (ডিপার)। এই প্রকল্পের কনসোর্টিয়াম পার্টনার হিসেবে আছে জার্মান রেড ক্রস, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, দ্য ব্রিটিশ রেড ক্রস, দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ, ক্রিশ্চিয়ান এইড এবং অ্যাকশন এনেন্সট হাঙ্গার। ঢাকা ১৮টি ওয়ার্ডে বড় ধরনের ভূমিকম্প এবং অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে সঠিক সাড়াদান ও প্রস্তুতি উন্নতকরণের মাধ্যমে স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কাজ করবে প্রকল্পটি। এ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উভয় প্রকল্প কাজ করবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close