সংসদ প্রতিবেদক

  ২২ জানুয়ারি, ২০২০

পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমিয়ে আনা হবে

সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংসদে জানিয়েছেন, ভারত থেকে প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। কিন্তু ভারতে পেঁয়াজের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশটির সরকার পেঁয়াজের রফতানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়। এতে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে ক্রম ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। তিনি আরো জানান, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

টিপু মুনশি জানান, চলতি অর্থবছরে (৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) বিদেশ থেকে সোয়া ৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এছাড়া খেতের নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় মূল্য কমতে শুরু করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি আরো জানান, বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ মেট্রিক টন। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর উৎপাদন হয়েছিল ২৩ লাখ ৩০ হাজার টন। এর মধ্যে ৩৩ ভাগ সংগ্রহকালীন ও সংরক্ষণকালীন ক্ষতি বাদ দিলে পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৩১ লাখ টন।

মন্ত্রী জানান, ভারত থেকে প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। কিন্তু ভারতে পেঁয়াজের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই প্রেক্ষাপটে দেশটির সরকার পেঁয়াজের রফতানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে ক্রম ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। তিনি আরো জানান, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে বাংলাদেশের রফতানি ছিল মাত্র ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামান্য ওপরে। বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশে রফতানি আয় হয়েছে ৪৬ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close