উগ্রবাদ দমনে পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা দিতে শুরু হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা। গতকাল শনিবার থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী এই কর্মশালার প্রথম ব্যাচে অংশ নিচ্ছেন ৫০ জন পুলিশ সদস্য। পর্যায়ক্রমে মাঠপর্যায়ের ৬০০ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। রাজধানীর মালিবাগে ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুলে এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত আইজিপি ও সিআইডি প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুলের (ডিটিএস) কমান্ড্যান্ট মো. শাহাদাত হোসেন।

বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের অর্থায়নে বাংলাদেশের প্রতিটি থানার অন্তত একজন উপপরিদর্শক বা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এই কর্মশালায়। পর্যায়ক্রমে ৬০০ পুলিশ কর্মকর্তাকে এই কর্মশালার মাধ্যমে উগ্রবাদ দমনে স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হবে। প্রতিটি ব্যাচে ৫০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করবেন। ১২টি ব্যাচে ৬০০ কর্মকর্তাকে এক সপ্তাহ করে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে সিআইডি প্রধান বলেন, উগ্রবাদ প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি খুবই সময়োপযোগী। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা উগ্রবাদ বিষয়ে এখান থেকে একটি স্পষ্ট ধারণা পাবেন, যা পরবর্তীতে কর্মস্থলে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ারের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে উগ্রবাদ দমনে একটি ধারণা তৈরি হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্যসহিষ্ণুতা নীতি ঘোষণা ও তা বাস্তবায়নে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কিছু মানুষকে সহিংস উগ্রবাদ বা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়ানো হচ্ছে। কিন্তু বিপৎগামী মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। পাশাপাশি কেউ যাতে উগ্রবাদের জড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন। যেহেতু পুলিশ অফিসাররা নিজ নিজ এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করতে সক্ষম, তাই তাদের সচেতনতামূলক এই কর্মকান্ডের আওতায় আনতেই কর্মশালার মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করা হবে।

"