প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

জ্ঞান বিকাশে জার্মানিতে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ

শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বের্নহার্ড এইটেল। বাংলাদেশ সরকার ও এই ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাঝে ‘বাংলাদেশ চেয়ার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ’এর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর শেষে ডয়েচে ভেলেকে তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে উপাচার্য ড. বের্নহার্ড এইটেল ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জার্মানিতে অবস্থিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। উপাচার্য বলেন, এ সমঝোতা স্বাক্ষরের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের ও সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অন্বেষণে সহায়তা করার মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক জ্ঞান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। সমঝোতা স্মারকের মধ্যদিয়ে ১৭ বছর বন্ধ থাকার পর আবার চালু হলো বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ।

তার আগে, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিল্প, সাহিত্যসহ নানা বিষয়ে গবেষণা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশ বিষয়ে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বাংলাদেশের ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ’।

তবে চালু হওয়ার দুই বছরের পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বন্ধ হয়ে যায় এ চেয়ার। নতুন এ সমঝোতার আওতায় হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটে প্রতি বছর একজন শিক্ষক ছয়মাসের জন্য যোগদান করবেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করবেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি বছর এপ্রিলে শুরু হওয়া সামার সেমিস্টারে প্রস্তাবিত এ শিক্ষক যোগদান করবেন। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ও নিয়োগকৃত শিক্ষকের আবাসিক সুবিধাদি বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, মডার্ন ইন্ডোলজি বিভাগের প্রধান ড. হান্স হার্ডার ডয়চে ভেলেকে বলেন, আমরা আনন্দিত যে বাংলাদেশ সরকার আমাদের এটি দিয়েছে। আশা করি, আগামী বছর থেকে আমরা এর পুরো সুবিধা পাব।

তিনি বলেন, আমরা আগামী বছর থেকে বাংলাদেশ থেকে একজন গবেষককে ছয় মাসের জন্য আনব। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে আমরা কাজ করি। বাংলাদেশ নিয়ে এরই মধ্যে কিছু কাজ হয়েছে তবে আরো অনেক কাজ করা প্রয়োজন। ফেলোশিপের এ সুবিধার মধ্যদিয়ে কাজটি এগিয়ে নওয়া যাবে।

হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যারয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদশি শিক্ষার্থীরা জানান, বঙ্গবন্ধু চেয়ার চালুর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণার সুযোগ তৈরি হলো।

দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী নামিয়া আক্তার বলেন, শুধু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাই নন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা এখন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং এ বিষয়ে তাদের প্রয়োজনীয় গবেষণা করতে পারবেন। তার আগে, রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। এ সময় তিনি ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে থাকাকালীন তাদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close