নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

এর আগে রাষ্ট্রপতি মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এসে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে অভ্যর্থনা জানান। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি সেখানে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন।

পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপরও প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডিতে যান এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানেও কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সদস্যরা তাদের স্থানীয় দোসর আলবদর, রাজাকার, আলশামসের সহায়তায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পী, প্রকৌশলী, লেখকসহ দুই শতাধিক বৃদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে যায় এবং মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগসহ বিভিন্নস্থানে নির্যাতন কেন্দ্রে নির্যাতন করে হত্যা করে। এর মধ্যে রায়েরবাজার ও মিরপুর ছিল উল্লেখযোগ্য। এরপর থেকেই দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close